প্রকাশিত,২৯,আগস্ট
রাকিবুল হাসান(রকি)
শিবচর প্রতিনিধি:
কর্মচারী নিয়োগে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ, অযাচিত ভাউচারে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, হিসাব-নিকাশে অসচ্ছতা, সার্টিফিকেট প্রদানে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে শিবচরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
বুধবার(২৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চর কামারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রধান শিক্ষক এম.এ বারেক মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ করে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। বিক্ষোভের মুখে তিনি বিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হন।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে জানান,'সম্প্রতি
বিদ্যালয়ের আয়া পদে চাকুরি দেবার কথা বলে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। অথচ আয়া পদে চাকুরি দিতে পারেননি। টাকাও ফেরত দেননি। এছাড়াও অন্যান্য পদে ইতোপূর্বে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ইতোপূর্বে ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক এম এ বারেক।
এছাড়াও ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে এ পর্যন্ত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিদ্যালয় থেকে। শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট বাবদ টাকা রাখতেন। টাকা ছাড়া সার্টিফিকেট প্রদান করতেন না।
বিক্ষোভকারীরা আরও জানান,'ইতোপূর্বে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও তিনি মোটা অংকের ঘুষ নিয়েছেন। সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ঘুষ বাণিজ্য ছাড়াও বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের কোন স্বচ্ছতা নাই। বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকাসহ পাঠদানেও অমনোযোগী তিনি। একারণেই দিন দিন বিদ্যালয়টির মান নিম্নগামী হচ্ছে। আমরা তার পদত্যাগের দাবী জানাই।'
আয়া পদের প্রার্থী ভুক্তভোগী সাবিনা আক্তার জানান,'স্কুলে আয়া পদের জন্য আমি প্রার্থী ছিলাম। চাকরি দিয়ে দেবে এমন কথা বলে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিছে। এরপর আর চাকরি দেয় নাই। টাকাও দেয় নাই।'
এদিকে প্রধান শিক্ষক এম এ বারেক জানান,'আমার কোন দোষ নাই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।'
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,'বিষয়টি জেনেছি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, তা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে তিনি দোষী হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।