শিবচরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুজন গুরুতর জখম উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-১০-২৯, ৬:৫৬ অপরাহ্ন /
শিবচরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুজন গুরুতর জখম উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ।

প্রকাশিত,২৯ অক্টোবর

রাকিবুল হাসান(রকি)
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:

মাদারীপুর শিবচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শাহজালাল মোল্লা ও ইসমাইল সরদার নামের দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে নটার দিকে শিবচর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের চরশামাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহজালাল মোল্লা (৩৫) চরশামাইল এলাকায় আব্দুল হাকিম মোল্লার ছেলে এবং ইসমাইল সরদার (৩৭) একই এলাকার হালিম সরদারের ছেলে।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শঙ্কা জনক হওয়ায় দ্রুত তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন।

জানা যায়, শিবচর পৌরসভার চরশামাইল এলাকার শাহজালাল মোল্লার সাথে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলছিল একই এলাকার শাহিন মোল্লার সাথে । শাহিন মোল্লা ওই এলাকার আমিন মোল্লার ছেলে। সোমবার রাতে ওই এলাকায় ক্যারাম বোর্ড খেলছিল শাহজালাল মোল্লা ও ইসমাইল সরদার। এ সময় সেখানে অটো ভ্যান যোগে উপস্থিত হয় শাহিন মোল্লা সহ চার পাঁচজনের একটি দল। তারা অটো থেকে নেমেই পরিকল্পিতভাবে শাহজালাল মোল্লার পেটের ভিতরে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। ছাড়াতে গেলে ইসমাইল সরদারের উরুতেও ছুরি দিয়ে কোপ মারে। দুজনকে এলোপ্যাথালি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কিন্তু অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

আহত শাহজালাল মোল্লার ছোট ভাই আলামিন মোল্লা বলেন’ শাহিন মোল্লা ছাত্রলীগ করতো। আমি বিএনপি নেতা নুরুদ্দিন মোল্লার ছবিসহ ব্যানার টাঙিয়েছি। সেই ব্যানার ছিড়ে ফেলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করে। কিন্তু ছিড়তে না পেরে। আজকে ক্যারাম বোর্ড খেলার সময় আমার ভাইকে ছুরি দিয়া কুপিয়ে গুরুতর যখন করে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আমিনুল ইসলাম বলেন,‘ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়াতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত তাদের কে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন বলেন,’ এ বিষয়ে দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে আমরা রাতেই সেনাবাহিনীর সহ যৌথ অভিযান করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’