শিবগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম সহ নিহত ২


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৬-২৮, ৬:৩৫ অপরাহ্ন /
শিবগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম সহ নিহত ২

প্রকাশিত,২৮,জুন, ২০২৪

ইমাম হাসান জুয়েল, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামসহ দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রানীহাটি কলেজের সামনে তাদের ওপর গুলি ও ককটেল হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মো. এত্তাজ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অপরজন রানিহাটি-ফতেপুরের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শিক্ষক মতিন আলী।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, রানীহাটি কলেজের সামনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে বসে ছিলেন আব্দুস সালামসহ তার সঙ্গীরা। হঠাৎ দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। তাদের ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুস সালাম। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মতিন আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিম ইফতেখার জাহান বলেন, রাত ৯টার দিকে মতিন আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথা ও পায়ে গুলি লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী রহিম বাদশা বলেন, ‘আব্দুস সালামসহ আমরা কয়েকজন মিলে কথা বলছিলাম। তখনই ২০-২৫ জনের একটা দল অতর্কিত হামলা করেছে। তার অভিযোগ, রানীহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।’ শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন আব্দুস সালাম।

এ বিরোধের জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। তারা বসে গল্প করছিল, তখনই অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। উপস্থিত কেউ তাদের দেখতে পায়নি। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার পর এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।