শিক্ষা মন্ত্রী ও পরিচলকের সদয় দৃষ্টি কামনা গলাচিপায় আসন সীমিত থাকায় ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারায় ঝড়ে পড়ার আশংকা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১২-২৫, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন /
শিক্ষা মন্ত্রী ও পরিচলকের সদয় দৃষ্টি কামনা গলাচিপায় আসন সীমিত থাকায় ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারায় ঝড়ে পড়ার আশংকা।

প্রকাশিত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় আসন সীমিত থাকায় ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারায় ঝড়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। জানা যায় চলতি বছরে গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে ১১০টি আসন থাকায় ৫০ শিক্ষার্থী এখনও ভর্তি হতে পারে নি। তাদেরকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে। অন্য কোন স্কুলে আবেদন না করায় ৫০ শিক্ষার্থী লটারী ব্যবস্থা ও সীমিত আসন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে অভিভাবক মহল ও শিক্ষার্থীরা হতাশ প্রকাশ করেছে। অভিভাবকদের এখন দুশ্চিন্তার কারণ তাদের সন্তানরা এখন ঝড়ে পরবে। পড়ালেখার প্রতি অনাস্থা তৈরি হবে। এখনও ভর্তি হতে পারেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বছরের নভেম্বর মাসে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ী তারা অপেক্ষমান তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে প্রথম তালিকায় লটারীতে ১১০ জন ভর্তির জন্য অনুমতি পান। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে ১০০ জন ভর্তি হলেও বাকি ১০ জন ভর্তি না অন্যত্র চলে যান। এই সুযোগে অপেক্ষামান তালিকা থেকে ১-১০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হলেও ১১-২০ পর্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তির আশায় বিদ্যালয়ের সামনে আসলেও এখন পর্যন্ত ভর্তি হতে পারে নি। এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক জানান, প্রতিদিন স্কুলে ঘুরে আসছেন কিন্তু ভর্তি করার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানতে না পারায় তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। আমরা গলাচিপা শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়টিতে আসন সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি। যাতে আমাদের মত প্রতিবছর অন্য কোন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে আর ভোগান্তির শিকার না হন। সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ না পেলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। তাই অতি দ্রুত আমরা আরও কিছু আসন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। এ বিষয়ে গলাচিপা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গলাচিপা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে স্কুলটি অবস্থিত। এই স্কুলের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এখান থেকে পড়ালেখা করে এখন অনেকে দেশের বিভিন্ন বড় বড় অফিসার হয়েছে। তাই এখানে পড়ানোর স্বপ্ন প্রতিটি বাবা-মা দেখেন। ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিচালকের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। কেননা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষার জন্য যা যা দরকার তিনি তা করেন। এ বিষয়ে গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, সারা দেশেই সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য অভিভাকরা চেষ্টা করেন। ফলে আসনের চেয়ে অনেক বেশি আবেদন অনলাইনে জমা হয়। সেখান থেকে লটারীর মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সরকারিভাবে আমাদের বিদ্যালয়ে ১১০টি আসন রয়েছে। এর বেশি ভর্তির সুযোগ আমাদের কাছে নাই। যারা লটারীতে টিকেছেন আমরা তাদেরকে ভর্তি করেছি এবং লটারীর মধ্য থেকে ১০ জন ভর্তি না হওয়ায় অপেক্ষমান তালিকা থেকে ১-১০ জন শিক্ষার্থীদের আমরা ভর্তি করিয়েছি। যারা ভর্তি হতে পারে নি সেসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে এসে আবার ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে আমাদের কোন হাত নাই। আমরা ১০ জনের ভর্তির জন্য চাহিদা পাঠিয়েছি। মন্ত্রনালয় থেকে আমাদের এখানে ১০টি আসন বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমরা আরো ১০ জনের ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব নতুবা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। এ বিষয়ে গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বিষয়টি নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলে জানান