লৌহজংয়ে তদন্তে গিয়ে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ এসআই এর বিরুদ্ধে


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-০৪-১৮, ২:৩০ অপরাহ্ন /
লৌহজংয়ে তদন্তে গিয়ে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ এসআই এর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত

স্টাফ রিপোর্টার:

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফারুক হাওলাদার এর ছেলে মোঃ রানা হাওলাদারের বিদেশী মদ নারাচারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

কানাডা প্রবাসী মোঃ মতিউর রহমান রিয়াদ নামক ফেসবুক আইডি থেকে সম্প্রতি সময়ে রানা হাওলাদার এর বিদেশী মদের বোতল নারাচারা করার ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করা হলে তা মুহুর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পরলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

ভিডিওটিতে দেখাগেছে, মোঃ রানা হাওলাদারের সামনে ৩০/৩৫টি বিদেশী মদের বোতল তার সামনে রয়েছে। তিনি সহ কয়েকজন তা হাত দিয়ে নারাচারা করছেন। প্যাকেজিং খুলে সাজাচ্ছেন।

বিদেশী মদের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি লৌহজং থানা পুলিশের নজরে আসলে এসআই জয়নাল আবেদীন সহ বেশ কয়েকজন অফিসার সহ ঘটনা তদন্তের জন্য গিয়ে সেলিম মোড়লের বাড়ি-ঘর সার্চ করে কোনো আলামত পাওয়া না গেলেও সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে কলমা বাজার সেক্রেটারী মোতালেব, ভাইরাল রানার মামা, এসআই জয়নাল আবেদীন বসে কথাবার্তা বলেন এবং দরকষাকষির মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা বানিজ্যে করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

জনমনে প্রশ্ন উঠছে- দেশের পটপরিবর্তনের পর একসাথে এতগুলো বিদেশী মদের বোতল কিভাবে সংগ্রহ করা হলো? পুলিশ তদন্তে এসে বাড়ি-ঘর তল্লাশি করলো। পরিষদে বসে অভিযুক্তের পক্ষের লোকজনদের সাথে মিটিং করেছে এবং আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে এসআই জয়নাল আবেদীন এর বিরুদ্ধে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বানিজ্যের সময় সামনে থাকা দাবী করে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসআই জয়নাল, বাজার সেক্রেটারী, রানার মামা সহ কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে যান। রানার মামার সাথে এসআই জয়নাল আবেদীনের সাথে ৩০ হাজার টাকা লেনদেন হয়। আমি ঘুষ লেনদেন পছন্দ করি না। আমি যদি আগে বুঝতাম তাহলে ভিডিও করে রাখতাম, ফেসবুকে ভাইরাল করে দিতাম।

এবিষয়ে রানা হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে রানা হাওলাদারের বাবা ফারুক হাওলাদার বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যক্তিটি নিজের ছেলে রানা দাবী করে তিনি বলেন, ১০ তারিখ বৃহস্পতিবার আমার আত্মীয়ের গায়ে হলুদ ছিল। ঢাকা থেকে আসা কিছু অতিথি নীল পানি (মদ) খেতে চেয়েছিল, এজন্য বোতলগুলো আনা হয়েছিল। আমার ছেলে এতে জড়িত না। ৩০ হাজার টাকায় পুলিশের সাথে রফা করার প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এবিষয়ে এসআই জয়নাল আবেদীনকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি তা রিসিভ করেন নি।

এবিষয়ে জানতে লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিহাদ ঘোষণা করেছি। মাদক কান্ডে কাউকে বিন্দু পরিমানও ছাড় দেওয়া হবে না। তবে বিদেশী মদের বোতল ভাইরাল কান্ডের বিষয় হচ্ছে, হলুদের অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে আগত মেহমানরা মদ এনেছিল। পরে তারা ঢাকায় ফিরে যান। এসআই এর বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকা লেনদেনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নাই, ভিত্তিহীন।