রাশিয়ার সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ ঘোষণা ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৬-২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন /
রাশিয়ার সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ ঘোষণা ।

প্রকাশিত,২৪, জুন,২০২৩

অনলাইন ডেস্ক ঃ

ইউক্রেন-রাশিয়ার দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধ হঠাৎ করে ভিন্ন পথে ঘুরে গেছে। এতদিন রাশিয়াকে সমর্থন করা ওয়াগনার গ্রুপ হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে তারা। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে লড়াইয়ে রুশ সেনাদের সমর্থনের বদলে এবার রুশ বাহিনীর ওপরই হামলা করছে তারা।

এক রাতের মধ্যে পাল্টে গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দৃশ্যপট। আলোচনায় এখন রাশিয়ার গৃহযুদ্ধ। এই পটপরিবর্তনে যে বাহিনীটি কাজ করছে তার নাম ওয়াগনার বাহিনী। রাশিয়ার এই বেসরকারি ভাড়াটে বাহিনী শুরু থেকেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে যুদ্ধ করছে। অথচ এখন তারা অবস্থান নিয়েছে নিজ দেশের সেনার বিরুদ্ধে। এতে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

এত দিন রাশিয়ার সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইউক্রেন বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। দখল করেছে ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে প্রত্যেক জায়গায় শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে এই ওয়াগনার গ্রুপ।

ইউক্রেনের অঞ্চল দখল করে বুঝিয়ে দিয়েছে রুশ সেনাদের কাছে। এরপর অন্য কোথাও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে রাশিয়ার এই ভারাটে বাহিনী। তাদের সফলতার প্রশংসা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেও।

এর মধ্যেই রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক সদরে দপ্তরে ওয়াগনার প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিনকে দেখা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন এলাকার সামরিক দপ্তরে প্রবেশ করেছেন তিনি। এমনকি গ্রুপটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে অবস্থিত ওই শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। সেখানকার লোকজনকে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার শক্তির অন্যতম এই উৎস আজ ঘরের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। রুশ সেনার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে তারা। অর্থাৎ ইউক্রেন ছেড়ে এখন নিজ সেনাদের বিরুদ্ধেই লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়ার এই বাহিনী। আপতদৃষ্টে মনে হচ্ছে রুশ এই দুই বাহিনী যেকোনো সময় সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

অন্যদিকে পুতিন যদি নিজের ঘরেও কোণঠাসা হয়ে পড়েন তাহলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন। ওয়াগনারের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদার করতে পারেন। এতে যেমন প্রাণহানি বাড়বে তেমনি চলবে ধ্বংসযজ্ঞ।