রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৭-০২, ১০:৫৬ অপরাহ্ন /
রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রকাশিত,০২, জুলাই,২০২৩

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন তিতাস নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠা শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর রামকান্ত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার এসএসসি ১৯৯৭ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। দীর্ঘ ২৬ বছর পর একে অপরকে দেখে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্কুল মাঠে ‘বন্ধু থাকুক যে যেখানে, বাঁধন আছে প্রাণে প্রাণেথ স্লোগানে এ আয়োজন করা হয়।

আয়োজকরা বলেন, সকাল থেকে একে একে আসতে থাকে ১৯৯৭ ব্যাচের বন্ধুরা। তাদের দেওয়া হয় ১৯৯৭ ব্যাচের লোগোসংবলিত একটি পাঞ্জাবী ও শাড়ী। দুপুরে পরিচিতি পর্ব শেষে চলে স্মৃতিচারণ। পরে র‍্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ড: আহসানুল আলম সরকার কিশোর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আয়োজন কমিটির আহবায়ক কাকন চন্দ্র দে। কমিটির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে শোক প্রস্তাব আনেন আয়োজক কমিটির সদস্য এএইচএম মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমদ চৌধুরী, স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোশারফ হোসেন, সাবেক শিক্ষক ও চাপিতলা অজিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান সরকার, সিনিয়র শিক্ষক রকিবুল শিরাজী, মুরাদনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান,সাংবাদিক হাফেজ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।

দীর্ঘ ২৬ বছর পর সহপাঠীদের কাছে পেয়ে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। একে অপরের দীর্ঘ দিনের না বলা কথা, গল্প আড্ডায় মেতে উঠে। তাদের শৈশবের স্মৃতি চারণে ব্যাকুল হয়ে পড়ে ১৯৯৭ ব্যাচের বন্ধুরা।