প্রকাশিত, ০২ মে ২০২৫
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে গভীর নলকূপ থেকে পানি আনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বেধড়ক মারধরের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বাবা ও মেয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেষ্টিন গ্রামে ১ নম্বর ওয়ার্ডে হাওলাদার বাড়িতে রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে। আহতরা হলেন আবুল হোসেন হাওলাদার (৪০) ও তার মেয়ে মিতু আক্তার (১৮)। স্থানীয়রা আবুল হোসেন হাওলাদার ও তার মেয়ে মিতু আক্তারকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সালাউদ্দিন তুহিন বলেন, আহত আবুল হোসেন আমার চিকিৎসাধীনে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩য় তলায় ১ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছে। তার মাথার ডান পাশে ৩টি সেলাই রয়েছে এবং তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। তার মেয়ে মিতু আক্তারের শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো কালো দাগ রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মিতু ৩য় তলায় ৯ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে আহত আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমার মেয়ে গভীর নলকূপ থেকে খাবার পানি আনতে গেলে প্রতিপক্ষরা আমার মেয়েকে পানি নিতে নিষেধ করে এবং আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার মেয়ে প্রতিবাদ করলে আউয়াল সরদার, শাওন, মহাসিন, রোজিনা বেগম, নিলুফা বেগম ও শিমুলী বেগম একত্রিত হয়ে বেধম মারধর করে। আমার মেয়ের ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে। এ বিষয়ে আহত আবুল হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী মাহিনুর বেগম বলেন, আমার মেয়ে মিতু আক্তারকে ১ মাস আগে বিবাহ দিয়েছি। মেয়েটি বেড়াতে এসেছে। পানি আনতে গিয়ে মেয়েটা আমার এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার শরীরে এখনো ব্লেডিং হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার তাকে বরিশাল রেফার করতে চায়। কিন্তু টাকা না থাকায় তাকে বরিশাল নিতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীকে প্রতিপক্ষরা ধারালো বগিদা দিয়ে কোপ দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে। তার মাথা থেকেও প্রচুর রক্ত ঝরেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই। এ বিষয়ে আহত আবুল হোসেন হাওলাদারের বাবা আ. রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, আমার নাতনি ও ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য ওরা চক্রান্ত করেছিল। আল্লাহ ওদেরকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু আমার নাতনীর অবস্থা তেমন ভাল না। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আউয়াল সরদার ও শাওনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জালাল ডাক্তার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমারৎ হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :