প্রকাশিত,১১,জুলাই, ২০২৪
পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরীঃ
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামে গত ২৭জুন যৌতুকের কারণে আত্মহত্যা করা
রীমা আকতারের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে রীমার পরিবার। ১১ জুলাই গতকাল (বৃহস্পতিবার) রীমার বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
এতে যৌতুকলোভী
প্রেমিক মিজানুর রহমান মোরশেদের ফাঁসি ও যৌতুক গ্রহণকারী পরিবারের সদস্যদের বিচার দাবী করা হয়। এছাড়া যৌতুকের চাপে
রীমার আত্মহত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মোরশেদের পরিবার গত ৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ
প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে রীমার পিতা মনির আহমদ বাঁচা জানান আত্মহত্যার প্ররোচনায় দায়েরকৃত
মামলা তুলে নিতে মোরশেদের পরিবার আমাকে চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি
মোরশেদের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। মনির আহমদ জানান, গত ২৮ জুন রীমা ও মোরশেদের বিয়ের দিন ধার্র্য্য করা হয়। ২৬ জুন মোরশেদের কথামতো বরযাত্রী আপ্যায়ন বাবদ ২ লক্ষ টাকা মোরশেদের খালাতো ভাই আসিফ ও তার পিতা মফিজুর রহমান সমাজের সর্দ্দার মুক্তার হোসেনের
উপসিস্থিতে গ্রহণ করেন।
তার পরেও মোরশেদ ফার্ণিচার দাবি করে। এমনকি ২৭ জুন মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন উক্ত ফার্ণিচার মোরশেদের বাড়িতে পৌছে দেওয়ার জন্য রীমা ও তার বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে।
এতে ২৭ জুন দুপুর ১১ টায় রীমা তার শয়নকক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তা দেখে
পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
নিয়ে গেলে রীমার মৃত্যু ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রীমার বাবা মনির আহমদ, মা সাজিয়া বেগম, চাচা শের আহমদ,
চাচাতো ভাই সুমন, সমাজের সর্দ্দার মোক্তার হোসেন ও বড় ভাই মোহাম্মদ আজগর প্রমুখ।
সেলিম চৌধুরী
পটিয়া প্রতিনিধি।
১১/০৭/২৪ ইং।
আপনার মতামত লিখুন :