প্রকাশিত,২৯, জুন,২০২২
হাফিজুর শেখ যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানকে মারধরের অভিযোগে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র আজিজুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মামলাটি করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার রিফাত রেজওয়ান সেতু জানান, রাজশাহীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর সরবরাহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ লাখ টাকার (বিল) প্রকল্পের বিপরীতে সিকিউরিটি বাবদ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওই সিকিউরিটির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র আজিজকে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। টাকা দিতে না চাইলে তারা প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন (শনিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে আজিজ নামের বহিষ্কৃত আরেক ছাত্র প্রকৌশলী মিজানুরকে ড. ইকবাল কবীর জাহিদের কাছে নিয়ে যান। সেখানে গেলে ড. ইকবাল কবীর জাহিদ একাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে সিঁড়ির নিচে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মিজানুরের কানে থাপ্পড় মারেন। এরপর আজিজও মিজানুরকে চড় থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করেন।
একই সঙ্গে তারা দুজনে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ দাবি করেছেন, অভিযোগ সঠিক নয়। মিজানুর ও আজিজের মধ্যে বাগবিতণ্ডা চলছিল। তাদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে মারধর করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারির সাউন্ড সিস্টেমের দুর্নীতির বিষয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছিলাম। ওই রিপোর্টে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান অভিযুক্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ায় আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এজন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ জানিয়েছেন। আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার হক। যাতে আর কেউ এরকম না করে। তার জন্য সকল ব্যাবস্থা নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :