মুরাদনগরে দুর্ভোগের সড়কের খানাখন্দে জমা বৃষ্টির পানিতে মাছের আগমন।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৯-০৮, ৫:০২ অপরাহ্ন /
মুরাদনগরে দুর্ভোগের সড়কের খানাখন্দে জমা বৃষ্টির পানিতে মাছের আগমন।

প্রকাশিত,০৮, সেপ্টেম্বর,২০২৩

সাইদুল মোল্লা, মুরাদনগর(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ

ভূবনঘর নহল এবিএস উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের নিকটে তীব্র খানাখন্দে জমেছে বেজার পানি। বৃষ্টির পানিতে পুকুর থেকে চলে আসা মাছগুলো সড়কেই করছিলো মনের আনন্দে ছটফট।

স্থানীয় দুই যুবককে দেখা যায় মাছ শিকারে, রীতিমতো সফলভাবে ৪থেকে ৫টি মাছ ধরতে সক্ষম হয় তারা। সড়কে চলা মাইক্রোবাসের চালকও দৃশ্যটি দূর হতে লক্ষ্য করে, গাড়ী থামিয়ে উপভোগ করে বিষয়টি। প্রাথমিক ভাবে মাছধরা হাস্যকর মনে হলেও চালক ও যাত্রীদের জন্য খানাখন্দের সড়কটি দিয়ে চলাচল বিন্দু মাত্রও স্বস্তির নয়। তুলে ধরলাম, গতকালের ঘটে যাওয়া মুরাদনগর থেকে ইলিয়টগঞ্জগামী সড়কের খানাখন্দের জন্য জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী অংশটির চিত্র।

স্থানীয় একজন কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন সড়কে ভয় নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। গাড়ী উল্টে যাওয়ার আতংক মনের ভেতর সদা জাগ্রত। এইতো কিছুদিন পূর্বে আমাদের সামনের সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি যাত্রী সহ উল্টে যায় রাস্তার গর্তে। ভাগ্য ভালো কেউ গুরুতর আহত হয়নি, পরে জানতে পারি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। স্কুলের পাশের সড়ক হওয়ায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা আছে চরম কষ্টে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের যাতায়াত এই সড়কটি দিয়ে, তাই অচিরেই সংস্কার প্রয়োজন।

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবেদককে বলেন, সড়কটির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে আছি। বর্ষার পূর্বে ট্রাক্টর চলাচলে প্রচণ্ড ধুলাবালিতে শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিত। এখন বৃষ্টির পানিতে সড়কের গর্তগুলো ডুবে যাওয়ায় প্রায়শই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে চলাচলকারী গাড়ীগুলো। মুরাদনগর থেকে সরাসরি ঢাকাগামী প্রধান সড়কের যখন বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে এখানে, তারপরেও সড়কটির বেহাল দশায় দীর্ঘসময়ের ভোগান্তিতে জর্জরিত হওয়ার কথাও বর্ণনা করেন তারা। বৃষ্টির পানি গর্তে জমে ছোটোখাটো ডুবায় পরিণত হয়েছে সড়কটি, যেখানে এখন মাছের আবাসস্থল।

পূর্বে কয়েকবার ইট দিয়ে সড়কটিকে চলাচলের উপযোগী করা হলেও বর্তমানে প্রচণ্ড বেহাল দশায় সড়কটি। সড়কটির মাধ্যমে দক্ষিণ মুরাদনগর অর্থাৎ গোমতী নদীর ওপারের মানুষজন প্রবেশ করে মুরাদনগর সদরে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলস্বরূপ, সিএনজি ও অটোরিকশা উল্টানোর ঝুঁকি থাকলেও বাধ্য হয়েই যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ৷ চলাচলকারী বড় যানবাহন গুলোও নয় সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত। তাই দ্রুত সংস্কারের জোর দাবী সড়কটি দিয়ে দৈনন্দিন যাতায়তকারী সকলের।