প্রকাশিত,০৬,মে,২০১৪
প্রিয়ন্ত মজুমদারঃ
নেতা হতে গেলে শুধু নেতৃত্ব নয় বরং তৃণমূলের জনমানুষের সাথে মিশতে হয়। জানতে হয় তাদের সুখ-দুঃখমাখা জীবন। ভাগ করে নিতে হয় তাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রম। তাহলেই নেতারা বুঝতে পারে জীবনে কতটা কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করে তার এলাকার বাসিন্দাগুলো। রাষ্ট্র যন্ত্রের পরিচালনায় যত বিখ্যাত নেতা এসেছেন সবই তৃণমূলের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তেমনি সকলের তরে নিজেকে পুরোদস্তুর বিলিয়ে দিয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর।
মৃত ব্যক্তিদের খাঁটিয়া নিজ কাঁধে বহন করে নিয়ে দাফন, দরিদ্র মানুষের মাঝে সহায়তা প্রদান, দিনমজুরের ঘাম জর্জরিত দেহ বুকে জড়িয়ে তাদের পরিশ্রমের উষ্ণতা অনুভব, করোনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখে লড়াই, বন্যায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, তীব্র গরমে কৃষকদের সাথে ধান কাটা থেকে শুরু করে ধান মারাই সহ অসংখ্য মহতী কর্মকাণ্ড তার বলে শেষ করা দুর্লভ।
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমন অসাধারণ ব্যক্তিকে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মুরাদনগর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। তাদের ভাবনায় আহসানুল আলম সরকার কিশোর শুধু নেতা নয়, তিনি তাদের ভাই, ভাতিজা, নাতি। নতুন ভোটারদের আগ্রহ সবসময় থাকে প্রযুক্তি ও নতুন কিছু নিয়ে ভেবে যারা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করেন। এসব বিষয়ে কিশোর অন্য প্রার্থীদের চেয়ে ঢের এগিয়ে। তার হাত ধরেই উপজেলায় প্রথম এসেছে “মুরাদনগর উপজেলা” অ্যাপ্লিকেশন। যার মাধ্যমে হাতের নাগালে স্বচ্ছ সেবা নিশ্চিত হয়েছে ভোটারদের। বয়স্ক ভোটার যারা রয়েছেন তারাও খুব কাছে থেকেই দেখেছেন এই প্রার্থীকে ফলে তার সেবাদানের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন সকলেই।
জনমত জরিপের তথ্য বলছে, গত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করায় দলীয় পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিল কিশোর। তার ক্ষমতার ৫বছরে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ায় তার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী জনগণ। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বিহীন নির্বাচন করলেও বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি কিশোরের জনপ্রিয়তায়। ব্যক্তি কিশোর দলমত নির্বিশেষে ভোট পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছে উপজেলার সুশীল সমাজ।
আপনার মতামত লিখুন :