প্রকাশিত ২৬-০৭-২৪
আজাদ নাদভী, স্টাফ রিপোর্টার:
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শামীম শেখের উপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের কাজলপুর গ্রামের মৃত নোয়াব আলী শেখের ছেলে মো: শামীম শেখ বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত ২৫ই জুলাই রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের রানাদিয়া গ্রামের জনৈক জলিল হাজীর দোকানের সামনে পূর্ব মুন্সীয়া গ্রামের মৃত সোহরাব শেখের ছেলে সাজু(৩২), মান্না শেখের ছেলে আরিফ (২২), সোহরাব শেখের ছেলে সুফল (৪০), কুকুটিয়া গ্রামের সোবাহান তালুকদারের ছেলে ফিরুজ তালুকদার (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জন উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শামীম শেখের উপর প্রকাশ্যে তার পথ অবরোধ করে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে শামীম তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা শামীমের উপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় সুফল তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পিঠে পোচ দেয় ও বাকীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। পরে শামীমের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী শামীমকে উদ্ধার করতে আসলে সাজু ও ফিরোজের সন্ত্রাসীবাহিনী এলাকাবাসীর উপরেও হমলা চালায়। এসময় আরিফ শামীমের পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় থেকে সাজু ও ফিরোজ গং এলাকায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে পারে না৷ এমনকি এই মারামারির সময় এলাকাবাসী শামীমকে উদ্ধার করতে গেলে কামাল শেখ কে সাজু পিস্তলের বাট দিয়ে পিঠে আঘাত করে এবং প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ভাটপারা গ্রামের রব শেখের ছেলে মো: কামাল শেখ তাকে মারধরের বিষয়ে বাদী হয়ে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের রানা সিনুন্ধি গ্রামের কালা বেপারীর ছেলে শামীম বেপারী ওরফে ইয়াবা শামীম সহ আরো ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মারামারির ঘটনায় শামীম শেখের অভিযোগের বিবাদী ফিরোজ তালুকদার বলেন, আমি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। মারামারি হয় নাই তবে ধাক্কাধাক্কি হইছে। আর আমরা গালিগালাজ করি নাই। শামীম শেখ আমাদের গালিগালাজ করছে সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে।
এলাকাবাসীকে মারধরের বিষয়ে বাদী কামাল শেখের দায়ের করা অভিযোগের বিবাদী শামীম বেপারী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। মারামারি শেষ হওয়ার পরে আমি শুনে সেখানে যাই। আপনি চাইলে ওই ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।
কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: নজরুল ইসলাম বলেন, গন্ডগোল একটা হয়েছে এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে আমি মারামারির সময় ছিলাম না। পরে সেখানে গিয়েছি। যেহেতু আমি পরে গিয়েছি তাই শামীম বেপারী ছিলো কিনা তা আমি জানি না।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, অভিযোগ যদি দিয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আজাদ নাদভী
আপনার মতামত লিখুন :