প্রকাশিত,০৭, এপ্রিল,২০২৪
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আনিছুর রহমান রিয়াদের নাম করে ঈদ সালামির নাম করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ- সম্পাদক তুষার আহমেদের বিরুদ্ধে। তুষার আহমেদ উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল মতিন শেখের ছেলে এবং আনিছুর রহমান রিয়াদের আস্থাভাজন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাযায়,তুষার ও তার দলবল আনিছুর রহমান রিয়াদের সঙ্গে যোগ দিয়ে গত সংসদ নির্বাচন করেন। আনিছুরের বাবা মহিউদ্দিন নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর থেকে তুষার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও এলাকার বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কখনো কক্সবাজার,কখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং গত কয়েক দিন ধরে ঈদের সালামির নাম করে চাঁদা চাচ্ছেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখাচ্ছেন। প্রতিবাদ তো দূরে থাক,তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলারও সাহস করছে না।
ব্যবসায়ী অজিত ঘোষ বলেন,নির্বাচনের পর পর তুষার কক্সবাজার যাবে,এজন্য আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। এখন আবার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে।
আমাকে সরাসরি এসে বলে তারা এমপি সাহেবের ছেলে আনিছুর রহমান রিয়াদের লোক,রিয়াদ সব জানে।
আরেক ব্যবসায়ী হরিশ চন্দ সরকার বলেন,ভাই চাদার বিষয় আর কি বলব,নৌকার সাপোর্ট করেও চাদা দিতে হয়, বিষয়টি খুব শীঘ্রই আমাদের এমপি মহোদয়কে বলব। কারা চাদা দাবী করে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব কথা ফোনে বলা যাবে না, সামনা সামনি হলে বলব।
উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান,তুষার মাত্র ৬ দিনের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক হয়েছিলেন, তবে সে উপজেলার কোন কমিটিতে নেই।
তবে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তুষার আহমেদ। তিনি বলেন,আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। কারো কাছ থেকে ঈদের সালামি চাইনি।কেউ বলতে পারবেনা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আনিছুর রহমান রিয়াদের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে রিসিভ করেন নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি উত্তর দেননি।
আজাদ নাদভী
০৭-০৪-২৪