মুন্সিগঞ্জে কানা জহিরের গুলিতে অন্তঃ সত্ত্বা নারী আহত


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-০২-০২, ১:১৪ পূর্বাহ্ন /
মুন্সিগঞ্জে কানা জহিরের গুলিতে অন্তঃ সত্ত্বা নারী আহত

প্রকাশিক

এম এইচ শাহীন:

মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে ডাকাত সরদার কানা জহিরের গ্রুপের সাথে পুলিশের গোলাগুলিতে কানা জহিরের গ্রুপের দুইজন নিহতের ঘটনার জেরে রাত পেরোতেই আবারও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী পিংকি আক্তার (১৯) আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আধারা ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামে একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি কানা জহিরের গ্রুপের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ২ জন। আহত নারীর মা নুরজাহান বেগম অভিযোগ করে জানান, গতকাল রাতে এত বড় ঘটনার পরও জহিরকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা না থাকায় সকালেই ফের বেপরোয়া হয়ে উঠলেন জহির ও তার লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার মেঘনা নদীতে গোলাগুলিতে দুইজন।নিহতের ঘটনার জের ধরে সকালে কানা জহিরের গ্রুপের বিপক্ষের গ্রুপের ছেলে রাজু সরকারের বাড়িতে হামলা চালায় কানা জহিরের ভাই শাহিন বেপারি ও তার লোকজন। এসময় অতর্কিত গুলিতে আহত হন আমার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে।আজকে তাকে ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে নেয়ার কথা ছিলো। আহত অবস্থায় ৯ মাসের অন্তঃ সত্ত্বা পিংকি কে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গগত, বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনা নদীতে মুন্সিগঞ্জ- চাঁদপুর সীমান্তে কানা জহির গ্রুপের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত হন মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর এলাকার কামাল ফকিরের পুত্র রাসেল ফকির (৩৩) ও চাঁদপুরের মতলব থানার তুহিন (২৯)।

আহত নারী পিংকি আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে ওদের ঝগড়া আজকে ওকে দৌড়ে পিছন পিছন আসে শাহিন ও কানা জহির তার লোকজন। এসময় আমাকে দরজার সামনে পেয়ে গুলি করে দেয়। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, আহত নারীর শরীরের ডান পাশে কোমড়ের নিচে গুলি ঢুকে অপর পাশ থেকে বের হয়ে গেছে এজন্য অস্ত্রোপচার তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। তবুও অন্তঃ সত্ত্বা নারীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। 

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।