প্রকাশিত,১০, আগস্ট,২০২৩
মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
বিশেষ প্রতিনিধি।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মোঃ ইসমাইল হোসেন গত ১৯ জুলাই ২০২৩ নিয়োগ প্রাপ্ত হন। সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার জন্য কালীগঞ্জের শান্তি কন্যা মেহের আফরোজ চুমকি এম পিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং মহান আল্লাহর কাছে এমপি চুমকির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ইসমাইল হোসেন স্যারের স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে পরিপাটি ছোট্ট একটা পরিবার। তার স্ত্রী একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বড় মেয়ে মেডিকেলে পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার স্বামী হোমিও এমবিবিএস ডাক্তার এবং বর্তমানে তিনি ঢাকা পিজি হাসপাতালে অর্থোপেডিকসের উপর এফসিপিএস করছেন। ছোট মেয়ে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। দুই ছেলে জমজ যারা তুমিলিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার স্ত্রীর বড় ভাই রায়েরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ছোট দুই শ্যালক কলেজের লেকচারার।
শিক্ষাকতার পাশাপাশি আর কি করতে ভালো লাগে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষাকতাই তার ভালো লাগে।ক্লাসে পাঠদানের পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক বা একাডেমীক বই পড়েন এবং শেখেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ ভাবে আদায় করেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পরিবারের সদস্যদের পড়ার টেবিলে, খাওয়ার টেবিলেবা অন্য যেকোনো সময় বিভিন্ন নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন। অবৈধ পথে হাজার টাকা উপার্জন করার চেয়ে বৈধ পথে এক টাকা উপার্জন করা অনেক ভালো। এই উপাদেশগুলো তিনি তার সন্তানদের, শিক্ষার্থীদের এবং অধীনস্থদের দিয়ে থাকেন।
অনেক শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরা ফিরা করতে দেখা যায় এ ব্যাপারে তার ভূমিকা কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জিনিসটা আসলে প্রায় অনেক প্রতিষ্ঠানেই সচরাচর দেখা যায় কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখি করেছে। এখন একটি ছেলে বা মেয়েকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে দেখা যায় না। ক্লাস শুরু হওয়ার পর পর দারোয়ান গেট বন্ধ করে দেন এবং দুপুর দুইটার আগে কোন শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে পারবে না। ক্লাস শেষ হওয়ার পর তিনি নিজে গেট খুলে দেন এবং এখানে সেখানে ঘোরাফেরা না করে সরাসরি যারা যার বাসায় যাওয়ার কথা বলেন।
আমাদের প্রতিনিধি কে জানান এছাড়া আমি একটি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন আর তা হলো, তিনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অফিসে ডাকাবেন ডেকে শিক্ষার মান উন্নয়ন এর জন্য সন্তান দের পড়াশোনার খেয়াল রাখতে বলবেন, এবং চা পানির ব্যবস্থা করবেন। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার অগ্রগতি এবং শিক্ষার্থীদের ভুল ত্রুটিগুলো নিয়ে অভিভাবকদের সাথে মত বিনিময় করবেন। যাতে অভিভাবকরা যে উদ্দেশ্যে তাদের সন্তানদের কলেজ পাঠিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে যেন সফল হয়।এ ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ছেলে মেয়েদের অবশ্যই ক্লাসমুখি করবেন এবং শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবেন। সরকার শ্রমিক কলেজ এ ব্যাপারে পিছপা হবে না।
কলেজের লেখা পড়ার মান উন্নতি করনে তিনি কি কি ভূমিকা রাখবেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজে আগে কখনো হয় নি। তিনি কিছু দিন আগে একাডেমিক কাউন্সিলে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে কুইজ পরীক্ষা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে যারা একাদশ শ্রেণী হতে দ্বাদশ শ্রেণীতে যাবে তাদের প্রত্যেক মাসে একটি করে কুইজ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। কুইজ পরীক্ষার নম্বরটি চুড়ান্ত পরীক্ষায় যোগ করে চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এ কুইজ পরীক্ষায় সকল শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ভাবে অংশ নিতে হবে। যদি কোন শিক্ষার্থী কুইজ পরীক্ষায় অংশ না নেয় তবে তাদের অভিভাবকদের অবগত করব। কুইজ পরীক্ষার ফি হবে মাত্র ১০ টাকা। প্রতি মাসে প্রতিটি বিষয়ের উপর কুইজ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। বর্তমানে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। এখানে জ্ঞান মূলক ও অনুধাবন মূলক প্রশ্ন থাকে যা অনেক শিক্ষার্থী উত্তর লিখতে পারেন না। সেক্ষেত্রে জ্ঞান মূলক ও অনুধাবন মূলক প্রশ্নের উত্তর কুইজ পরীক্ষায় নেওয়া হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা যে কোন পরীক্ষায় সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসতে পারে এবং পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের আগে তাঁরা ভালো ভাবে প্রস্তুত করে নিতে পারে। এতে যে কোন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে এবং বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। কলেজের সুনাম বয়ে আনতে পারে। এজন্য কলেজের পড়াশোনার মানোন্নয়নে এ ভূমিকা নেয়া হয়েছে। কুইজ পরীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাস পরীক্ষাও থাকবে যা সকাল শিক্ষকদের বলা হয়েছে। তিনি প্রতিদিন সকল ক্লাসের খোঁজ খবর নেন। সরাসরি ক্লাসে উপস্থিত হন। ক্লাস ঠিকঠাক মতো হল কিনা, কোন ক্লাসে শিক্ষক গ্যাপ আছে কি না, ক্লাসে শিক্ষকের ভূমিকা কি ইত্যাদি। কখনো কখনো তিনি দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে ক্লাস পর্যবক্ষেণ করেন। কখনো কখনো ছাত্রদের সাথে ছাত্র হয়ে ক্লাস করেন এতে হঠাৎ করে শ্রেণী শিক্ষক আচমকা হয়ে গেলেও শিক্ষকরাও সতর্ক হয়ে যায়। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা ও উৎসাহ পায় এবং ছাত্র-শিক্ষক উভয়ে পড়াশোনায় আগ্রহ ও মনোযোগ আসে। ছেলে মেয়েরা ক্লাস মুখি হবে। তারা ভালো ভাবে ক্লাসটাকে observed করবে। ইতিমধ্যে তিনি এ কর্মকান্ড গুলো করছেন। পড়াশোনার মানোন্নয়নে যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং তার বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকবে। তিনি বলেন তিনি একটি চ্যালেঞ্জিং অবস্থায় কলেজর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মাননীয় এমপি মহোদয় মেহের আফরোজ চুমকি আপাকে শক্ত হাতে কলেজের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে আশ্বাস দেন। বর্তমানে ছেলে মেয়েরা ক্লাস মুখি। তারা ক্লাস করতে স্বচ্ছন্দবোধ করে এবং শিক্ষকরাও দায়িত্বশীল হয়ে গেছেন। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন টাকার অভাব
আপনার মতামত লিখুন :