মাদ্রাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বজনের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৫-০৮, ১০:৫৬ অপরাহ্ন /
মাদ্রাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বজনের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা।

প্রকাশিত,০৮,মে২০২৪

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা পটুয়াখালী, প্রতিনিধি ঃ

গলাচিপা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখাালীর গলাচিপায় হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী সানিয়াকে(১০) ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা সাজিয়েছে বলে একই বাড়ির হাসান বিশ্বাস(২২) এর উপর অভিযোগ তুলেছেন সানিয়ার মা সাহিদা ও তার পরিবার।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার শেষ বেলায় হাসান বিশ্বাসকে আটক করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড পাতাবুনিয়া গ্রামে।

এ ঘটনায় সানিয়ার বাবা মফিজুল বিশ্বাস বাদি হয়ে হাসান বিশ্বাসকে অভিযুক্ত করে গলাচিপা থানায় বুধবার একটি ৩০২/ ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া গ্রামের মফিজুল বিশ্বাস এর স্ত্রী সাহিদা সোমবার সকালে তার দুই কন্যা নিয়ে মরিচ তুলতে ক্ষেতে যান।

সকালে বড় মেয়ে সাদিয়া (১৫) স্কুলে যায়। আর সানিয়া খাবারের উদ্দেশ্যে বাড়ী আসে। এসময় বাড়ীতে সানিয়াকে একা পেয়ে হাসান বিশ্বাস প্রথমে ধর্ষণ করে পরে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে সানিয়াকে হত্যা করে।

এক ঘন্টা পর সানিয়ার মা সাহিদা বেগম ক্ষেত থেকে বাড়ীতে এলে ঘরের আড়ার সাথে সানিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ততক্ষণে হাসান বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়।

হাসানের মা মাসুদা বেগম বার বার বলতে থাকে সানিয়া মেয়ে মানুষ মরদেহ ময়না তদন্ত করা লাগবে না, এতে আত্মা শান্তি পাবে না।

এ কথায় হাসানের পরিবারের প্রতি সন্দেহ ঘনিভূত হলে বাদীর বড় ভাই জহিরুল ইসলাম গলাচিপা থানায় বিষয়টি অবহিত করেন।

পুলিশ গিয়ে সোমবার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠায়।

মঙ্গলবার হাসান বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে মাছ ধরতে গেলে সানিয়ার চাচা জহিরুল ইসলাম ট্রলার যোগে হাসানকে ধরে পুলিশকে সোপর্দ করে।

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার সাব ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত অফিসার আ: রহমান জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া কোন কিছু বলা যাচ্ছে না।

তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাসানকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১০দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।