মাদারীপুর জেলার শিবচরে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-১২-২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন /
মাদারীপুর জেলার শিবচরে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন।

প্রকাশিত,২৫,ডিসেম্বর

রাকিবুল হাসান(রকি)
শিবচর(মাদারীপুর)প্রতিনিধি:

মাদারীপুর জেলার শিবচরে টানা কয়েকদিনের কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কর্মজীবীদের পাশাপাশি বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তাপমাত্রা উঠানামার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে উপজেলার মানুষ। বিশেষ করে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

এদিকে হাড় কাঁপানো শীতের কারণে গরম কাপড়, রুম হিটার, ওয়াটার হিটার, গরম পাত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। এদিকে গত কয়েকদিনের হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষজন। শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে ছুটে চলছেন তারা। এছাড়াও শিবচর উপজেলার এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশার কারণে রাত ও ভোরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গৃহহীন দরিদ্র মানুষদের।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা পর্যন্ত সূর্যের কোন দেখা মেলেনি। দুপুরের পরে দুই এক ঘন্টা হালকা রোদ উঠলেও সাথে বইতে থাকে হিমেল হাওয়া। এতে গরম বস্ত্রের অভাবে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী বেষ্টিত নদ-নদীর চর সহ শিবচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

চাঁন্দেরচর এলাকার ভ্যানচালক মালেক মিয়া জানান, তিনদিন ধরে প্রচন্ড শীত পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাব থাকলেও পেটের দায়ে ভ্যন নিয়ে বের হলেও যাত্রী পাচ্ছিনা। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এরকম কয়েকদিন চলতে থাকলে
না খেয়ে থাকতে হবে।

আরেক কৃষক মো. কাশেম মোল্লা জানান, হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে মাঠে কাজ করতে পারছি না। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছি।

কাওড়াকান্দি ঘাটে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা নৌযান শ্রমিক জামাল মিয়া জানান, শীতে নদীতে নৗযান চালাতে খুব কষ্ট হয়, তারপর আবার বাতাসও হচ্ছে। যাত্রী নেই তাই নদীর পাড়ে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করছি।

একই এলাকার ফাতেমা বেগম জানান, আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করি, শীতে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই, এখনো কোনো কম্বলও পাইনি। শীতে খুব কষ্ট পাচ্ছি, তাই সকাল-সন্ধ্যা আগুন পোহাচ্ছি।

শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট আতিকুজ্জামান বলেন, ঘণ কুয়াশার কারণে কোন কিছুই ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে না। তাই এক্সপ্রেসওয়ের গাড়ী গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে চলে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহাসড়কের একাধিক পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের শীতবস্ত্র ক্রয়ের বরাদ্দ এসেছে। খুব শীঘ্রই শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র সরবরাহ করা হবে।’