মহাসড়কে ৬১ ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ, বেতন দিলে তবেই প্রত্যাহার।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-১১-১২, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন /
মহাসড়কে ৬১ ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ, বেতন দিলে তবেই প্রত্যাহার।

প্রকাশিত,১১,নভেম্বর

এম এইচ শাহীন, গাজীপুর:

গাজীপুরে টি অ্যান্ড জেড গ্রুপ নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। ৬১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের একাধিক উদ্যোগ, বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলেও শ্রমিকরা তাদের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছেন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে, বেতন না পেলে মহাসড়ক ছাড়ব না—এমন দাবিতে শ্রমিকরা শক্ত অবস্থান নিলে এক মাসের বেতন আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রদান করা হবে বলে মুঠোফোনে শ্রমসচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ মিয়া, সেনাবাহিনীর ১৪ ফিল্ড আটিলারি রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন ফাহমিদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) শাহাদাৎ হোসেন এবং শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেনসহ অন্যান্য প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

আশ্বাস পেয়ে সোমবার দুপুর ২টার দিকে টি এন জেড গ্রুপের আন্দোলনকারী শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে যান চলাচল শুরু হলেও এর কিছুক্ষণ পরেই আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারী শ্রমিকরা বলেন, আশ্বাস নয়, আমরা বেতন চাই। বেতন দিলেই অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে।

টি এন জেড এ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিক আব্দুল কাদির বলেন, একাধিকবার বেতন পরিশোধের শুধু আশ্বাসই পেয়েছি, বেতন আর পাইনি। এবার আশ্বাস নয়, বেতন নিয়েই ঘরে ফিরতে চাই। মাস শেষে ঘর ভাড়া, দোকানের বাকি, সন্তানের স্কুলের বেতন পরিশোধ করে গ্রামে মা- বাবার কাছে টাকা পাঠাতে হয়। সঠিক সময়ে টাকা পরিশোধ না করতে পারলে বাড়িওয়ালা ও দোকানদারের কথা শুনতে হয়। রাহেলা আক্তার নামে আরেক শ্রমিক বলেন, দুই মাসের বেতন না দেওয়ায় আমাদের না খেয়ে থাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে। বেতন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ মায়ের ওষুধ কিনে দিতে হয়, দুই মাসে বেতন বকেয়া থাকায় সেটাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করেও আমাদের বেতনগুলো পরিশোধ করা উচিত।