মহাখালী বাস টার্মিনাল এখন রাজধানী বাসীর গলার কাঁটা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১০-১২, ১:২৮ পূর্বাহ্ন /
মহাখালী বাস টার্মিনাল এখন রাজধানী বাসীর গলার কাঁটা।

প্রকাশিত,১১, অক্টোবর,২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি
মনির হোসেন শাওন ঃ

ঢাকার যানজট নিরশনে নানা রকম পদক্ষেপ সরকার নিলেও যানজট যেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়। সম্প্রীতি ঢাকা শহরের যানজট এবং জন ভোগান্তি দূর করার জন্য চালু করেছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু যানজট নিরশনে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারছে সেটা হলো মুখ্য বিষয়।
পূর্বে ময়মনসিংহ ঢাকা হাইওয়েতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত তুমুল যানজট ছিল প্রতিদিন।সম্প্রীতি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর গাজীপুর, আব্দুলাপুর, উত্তরার যানবাহন দ্রুত হয়ে চলে যাই বনানী কাকলী পর্যন্ত। কিন্তু শুরু হয় কচ্ছপ গতিতে বাস চলাচল কারণ সকালে যখন আন্তজেলা বাসগুলো মহাখালী বাস টার্মিনালে মূল রাস্তাকে অবরোধ করে পার্কিং করে রাখা হয় তখনই দুই লেন বন্ধ হয়ে যায়।তাছাড়া বাকি বাসগুলো পার্কিংয়ে নিতে এবং বাস টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের হতে যে পরিমাণ সময় লাগে তাতে যানজটের মাত্রা সময় সময়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধারাবাহিকতায় সিগন্যাল টু সিগন্যাল যানজট আরো বাড়তে থাকে এ নিয়ে জন ভোগান্তি শেষ কবে?

এই যানজট নিয়ে লোকাল বাস চালকের সাথে কথা হলে তিনি জানান প্রতিদিন সকালবেলা ঢাকার বাহির থেকে যে বাসগুলো যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে সেই বাসগুলো অধিকাংশই রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখে যে কারণে রাস্তার লেন সরু হয়ে যায় এবং পর্যাপ্ত গাড়ি টার্মিনালের এরিয়াটা পাস করতে পারে না ফলে পিছন দিয়ে আরো যানজটে সৃষ্টি হয়।
আমরা চাই মহাখালী বাস টার্মিনাল ঢাকার উত্তর পাশে যেকোনো একটা জায়গায় স্থানান্তরিত করা হোক এতে এই এলাকার যানজট অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু আমাদের কথা কে শুনবে!

যানজটের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছু আন্ত বাস চালক বলেন আমরা যাত্রী নিয়ে টার্মিনালে আসি কিন্তু দেখা যায় টার্মিনালে পর্যাপ্ত জায়গা নাই হলে আমাদের গাড়ি আর ভিতরে রাখতে পারিনা অস্থায়ী পার্কিং হিসেবে পার্কিং করে রাখতে হয়।অনেক সময় বাসগুলো সিরিয়াল করতে গিয়েও সবগুলো লেন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

যানজট নিয়ে লোকাল বাস যাত্রী
আশরাফুল ইসলাম নামের ব্যাক্তির সাথে কথা হয় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন আমরা খুব কষ্টে দিন পার করছি নির্দিষ্ট সময় বের হলেও যানজটের কারণে পৌঁছাতে পারিনা।
প্রচন্ড গরম এবং বাসগুলো খুবই নোংরা আবার তার সাথে জ্যাম জ্যাম ও বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠানো সবমিলিয়ে অস্বস্তিকর একটা অবস্থা নিত্যদিন পার করতে হয়।