প্রকাশিত,১২, আগস্ট,২০২৩
মোঃ আতাউর রহমান।
খানসামা দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আঢরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মদিন আজ।
১৯৭০ সালের এইদিনে আরাফাত রহমান কোকো জন্মগ্রহণ করেন।আজ,১২/আগস্ট ২০২৩,শনিবার তার জন্মদিন।
রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হলেও আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতিক হিসেবে নয়, একজন ব্যবসায়ী হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
ব্যবসা, ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেই নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হয়েও তার মধ্যে কোনো অহঙ্কার ছিল না। একজন সাধারণ মানুষের মতো তিনি জীবনযাপন করতেন। মিতবাক, সজ্জন এবং সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন কোকো। একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হয়েও নব্বইর দশকে তিনি বাকিতে মোটরসাইকেলের তেল কিনতেন। অবিশ্বাস্য মনে হতেই পারে। এছাড়া তিনি মাঝেমধ্যেই খেলনা আর চকলেট নিয়ে পথশিশুদের কাছে ‘সারপ্রাইজ’ হিসেবে হাজির হতেন। তাদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন। মালয়েশিয়াতে অবস্থানকালেও তিনি খুবই সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। একটি দুই বেডের ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। নিজেই প্রতিদিন দুই মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন। বিনয়ী ও প্রচারবিমুখ কোকোর চরম শত্রুরাও তার ব্যক্তিরা সমালোচনা করেননি।
কোকোকে ১/১১-এর সেনাসমর্থিত মইন-ফখরুদ্দীন সরকারের সময় মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি স্ত্রী ও দু কন্যাসহ মালয়েশিয়াতেই অবস্থান করছিলেন। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো’র ৫৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা মরহুম আরাফাত রহমান কোকো’র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় দিনাজপুর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সভাপতি বক্তিয়ার আহমেদ কচি বলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার পিছনে যে কয়জন নিভৃতচারী ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন মরহুম আরাফাত রহমান কোকো তাদের অন্যতম, বাংলাদেশের ক্রিকেট কে ভালোবেসে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তরুণ ক্রিকেটারদের বের করে আনার এইচপি ইউনিট, যে এইচপি ইউনিটের মাধ্যমে পরবর্তীতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক তারকা ক্রিকেটার বের হয়ে এসেছেন।
একজন আরাফাত রহমান কোকো বুঝতে পেরেছিলেন ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে ক্রিকেটার তৈরির পাইপলাইনকে অনেক মজবুত করতে হবে, তা না হলে এ দেশের ক্রিকেট কখনোই শক্ত জায়গায় দাঁড়াতে পারবেনা। সেই উপলব্ধি থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এইচপি বা হাই পারফরমেন্স ইউনিট। যে এইচপি ইউনিটের কল্যাণে আজও বের হয়ে আসছে হাজার হাজার তরুণ ক্রিকেটার। আরাফাত রহমান কোকোর সেই অবদান বাংলাদেশের ক্রিকেটে আজও অম্লান হয়ে আছে। মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেটকে নিয়ে আসার পিছনে মূল ব্যক্তি ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। আজকে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম তার হাত ধরেই হোম অব ক্রিকেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে রূপান্তর করার কারিগরও ছিলেন এই মানুষটি। আর বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলার অনন্য নেত্রিবিন্দ।
তারিখ:১২/০৮/২০২৩,ইং,শনিবার
মোঃ আতাউর রহমান।
আপনার মতামত লিখুন :