ময়মনসিংহে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১২-০৫, ৮:০৭ অপরাহ্ন /
ময়মনসিংহে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ।

প্রকাশিত,০৫,ডিসেম্বর,২০২৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ময়মনসিংহে মাইজবাড়ী আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভেন দেখিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার নাম এ.কে.এম জহিরুল হক। তিনি মাইজবাড়ী আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। একজন প্রধান শিক্ষকের এমন প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।তবে এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে কোতোয়ালী সি.আর মামলা নং-২৪২১/২০২৩ একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোঃ সানাউল হক।মামলার সূত্রে জানা যায়- ২০১৭ সালে ১১ ডিসেম্বর মামলার বাদী মোঃ সানাউল হকের কাছ থেকে মাইজবাড়ী আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের প্যাডে অঙ্গীকারনামা করে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।তবে অঙ্গীকারনামা অনুযায়ী সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মামলার বাদী আসামীর কাছে টাকা ফেরত চাইলে আসামী এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাক্ষীগণের সামনে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এতে সুষ্ঠু বিচারের আশায় ভুক্তভোগী মোঃ সানাউল হক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন এ.কে.এম জহিরুল হক। কিন্ত তাদের কারো চাকুরী হয়নি। এখন ঐ টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন তিনি।উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে দৈনিক স্বজন পত্রিকায় প্রকাশিত এক পুনঃ আবশ্যক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে বলা হয়- মাইজবাড়ী আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণি পদে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে। পত্রিকায় এর আগে আরও কয়েকবার বিদ্যালয়ে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।ভুক্তোভোগীদের পরিবারসহ স্থানীয়দের অভিযোগ, চাকরির দালালিসহ বিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম করে এ.কে.এম জহিরুল হক সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন।বিদ্যালয়ে চাকরি দিতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা দেন এবং এভাবে স্থানীয় কয়েকজন যুবককে বোকা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন শুরু করেন। টাকা নিয়ে মাইজবাড়ী আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্যাডে অঙ্গীকারনামাও করেন। তবে চাকরি না হওয়ার পর টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি গড়িমসি শুরু করেন।এ ঘটনায় মামলার বাদী মোঃ সানাউল হক জানান, আমাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিলো মাইজবাড়ী আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম জহিরুল হক। তিনি স্কুলের প্যাডে সাক্ষর করে সাক্ষীদের উপস্থিতে টাকা নিয়েছিলো ২০১৭ সালে। পরে চাকরি না দিলে, আমি টাকা চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো স্কুল কমিটির ক্যো-আব সদস্য পদ দিবে কিন্তু তখনও তিনি টাকার বিনিময়ে আমাকে না দিয়ে, তার নিজের লোকদের দিয়ে নির্বাচন ছাড়াই সদস্য করে কমিটি গঠন করে। এ নিয়ে স্কুল শিক্ষকদের অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এছাড়াও তার অবৈধ স্কুল কমিটির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন পর পর পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সহজ সরল মানুষকে চাকরির লোভ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এজন্যই আমি প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে মামলা করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আশা করি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এবং এতে নিয়োগের নামে প্রধান শিক্ষকের লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য বন্ধ হবে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।এ বিষয়ে মাইজবাড়ী আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম জহিরুল হককে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।