প্রকাশিত,১৬,ফেব্রুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ:
পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি কর্মকর্তাদের মূলত কোন জবাব দিহিতা ছিলোনা। নিজ নিজ ইচ্ছা মতো দেশটাকে তারা লুটেপুটে খেয়েছে।
তার প্রভাব পড়েছে ময়মনসিংহ জেলার সবগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি ভূমি অফিস গুলোতে।
ব্যাপক অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, ময়মনসিংহ সদরের ভাবখালী ও ঘাগড়া ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান অভিনব কায়দায় সরকারি দুটো ভূমি অফিসের দায়িত্বে থেকে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, ঘুষ বানিজ্য করেছেন ।
মজার ব্যপার. মোখলেসুর রহমানের বাড়ি যেখানে পোস্টিংও সেখানে, ভাবখালী ও ঘাগড়া ইউনিয়নে বাড়ী, পোস্টটিংও সেই ভূমি অফিসে, ভূমি অফিস অবস্থিত চুরখাই বাজারে। বলা যায়. দুই ইউনিয়নের মাঝ খানেই নায়েব মোখলেসুর রহমানের বাড়ি। জানা গেছে, নায়েব মোখলেসুর রহমান যেহেতু স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা আবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভূমি অফিসের নায়েব অপর দিকে আবার পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগ সরকারের ক্যাডার বলে সর্বত্র পরিচিত মুখ এবং এখন লোক মুখে শোনা যায় সাধারনত নায়েব মোখলেসুর রহমান নিজেই নাকি বলে বেড়াতেন তার অর্থচুরি আর ঘুষের টাকা স্হানীয় আওয়ামীলীগের মাধ্যমে শেখ হাসিনার কাছেও নাকি যেতো।
অভিযোগে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ভাবখালী এবং ঘাগড়া দুটো ইউনিয়নেরই সরকারি ভূমি কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রন ভার মোখলেসের হাতেই ছিলো এখনো আছে । সেক্ষেত্রে মোখলেসুুর রহমান একজন বেপরোয়া নায়েব হিসেবে স্হানীয় বাসীদের সাথে তার গড়ে উঠে ছিলো সখ্যতা আর টাকার প্রেম।
জানা গেছে, দুই ইউনিয়নের ভুমি অফিস থেকে কোটি কোটি টাকার ভাগ-বাটোয়ারা চলতো। টাকার ভাগ যেতো স্হানীয় আওয়ামীলীগের ক্যাডার থেকে শুরু করে নিজের কাছে এবং আওয়ামী লীগের উচ্চ মহল পর্যন্ত যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তী অভিযোগে জানা গেলো. গরীব অসহায় সাধারণ নিরীহ মানুষ যখন তাদের সঠিক দলিল নায়েব মোখলেসুর রহমানের কাছে উপস্হাপন করতো তখন মোখলেস বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টি করতো। রাগ-ক্ষোভ ঝাড়তো এবং মিথ্যাচারের কৌশল প্রয়োগ করে দলিল ফিরিয়ে দিলেও দলিল গ্রাহকের ঘটি-বাটি বিক্রি করে টাকা তুলে দিতে হত নায়েব মোখলেসুর রহমানের হাতে।
জানা গেছে, এভাবেই গরীবের রক্ত চুষে নায়েব মোখলেসুর রহমান এখন কোটিপতি। বাড়ি ঘাগড়ায় হলেও ময়মনসিংহের প্রাণকেন্দ্র ধোপাখোলায় গড়ে তুলেছেন পাঁচতলার এক আলীশান বাড়ি। লোক মুখে শোনা যায়. তার এলাকা ঘাগড়া ভাবখালীতে নামে-বেনামে ক্রয় করেছেন একরের পর একর ক্ষেতি জমি। চলছে শান-সৌকতের জীবন-যাপন।
জানা গেছে, মোখলেসুর রহমান এর আগে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বোররচর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন । এখনও নাকি অপ্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বহাল তবিয়তে থেকে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মিদের সাহায্য সহযগিতা করে একাধিক গোপন বৈঠকও করেছেন।
ধান্ধাবাজ এই নায়েব মোখলেসুর রহমান দেশের ক্ষতি করেও কেন বহাল তবিয়তে আওয়ামীলীগেরই রাজনীতি চালিয়ে যাবেন এটা গুরুতর প্রশ্নবিদ্ধ। এ ব্যপারে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা গুলোর কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। সেই সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন দেশপ্রেমিক জন সাধারণ।
আপনার মতামত লিখুন :