প্রকাশিত, ০২, জুন,২০২৪
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় সুতিয়া নদী থেকে উদ্ধার খণ্ডিত দেহটি বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভের (২২)।
নিহত ওমর ফারুক সৌরভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের ইউসুফ আলী আকন্দের ছেলে। তিনি আইইউবিএটিট বিবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহত সৌরভ পরিবারের সাথে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন।
রোববার (২ জুন) সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, এদিন সকালে ময়মনসিংহ সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রিজের নিচে সুতিয়া নদী থেকে এক অজ্ঞাত তরুণের ৪ খণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন ইনচার্জ (ওসি) মো. ফারুক হোসেন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, সৌরভ পরিবারের সাথে ঢাকায় বসবাস করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ’তে লেখাপড়া করত বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তাদের কেউ গ্রামে থাকে না। মো. ইলিয়াস নামে সৌরভের এক চাচা ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবার তার চাচা ইলিয়াসকে দায়ী করছেন। এর কারণ হলো, চাচা ইলিয়াসের মেয়ের সাথে সৌরভের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ইলিয়াস বিষয়টি মেনে নিতে নারাজ ছিলেন। যে কারণে, তার মেয়েকে এক চিকিৎসকের সাথে বিয়ে দেন। এরপরেও মেয়ের প্রতি সৌরভ আসক্ত ছিল। সৌরভের সাথে তার চাচার মেয়ের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ থাকার কারণে ওই মেয়ে তার স্বামীর বাড়িতে যায়নি। এসব কারণে সম্প্রতি চাচা ইলিয়াস তার মেয়েকে কানাডা পাঠিয়ে দেয়। সেখানে যাওয়ার পরেও নাকি তাদের যোগাযোগ ছিল।
পুলিশের ধারণা, পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই তরুণকে খুন করে মরদেহ চার খণ্ড করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :