মকসুদপুরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে মার্কেট নির্মানের অভিযোগ মেয়র শিমুলের বিরুদ্ধে।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৫-২২, ১:১১ অপরাহ্ন /
মকসুদপুরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে মার্কেট নির্মানের অভিযোগ মেয়র শিমুলের বিরুদ্ধে।

প্রকাশিত, ২২,মে,২০২৪

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুরে উপজেলার সদর পৌরসভার দক্ষিন চন্ডিবরদী এলাকার পাইলট স্কুলের পাশে পৈত্রিক সম্পত্তিরে উপর মহামান্য হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে জোর দখল করে মার্কেট নির্মান করছেন মকসুদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অশ্রাফুল আলম শিমুল মিয়া ও তাকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ মুকসুদ পুরের পুলিশ প্রশাসন অভিযোগ করেন জায়গার প্রকৃত মালিক মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে তৌহিদুর রহমান সর্দার। সরেজমিনে গেলে জানা যায় তৌহিদুল সরদাররা ও তার পরিবারের লোকজন অতি নিরিহ প্রকৃতির মানুষ।
এ ব্যপারে জায়গার মালিক ভুক্তভোগী তৌহিদুর রহমান বলেন, এই জায়গার পৈত্রিক সূত্রে প্রকৃত মিালিক আমার বাপ-দাদারা সেই সূত্রে আজ আমরা মালিক। আমাদের এই সম্বলটুকুর উপর নজর পড়েছে শকুনীদের। তিনি আরো বলেন, এই জায়গায় আমাদের স্থাপনা রয়েছে বহুবছর ধরে। প্রথমে আমরা এই যায়গায় কাজ করতে আসলে আমরা আইনের দারস্ত হই। রায় আমাদের পক্ষে হলেও তার জোর করে আমার জায়গায় কাজ চলমান রাখে, পরে আমি আবার হাইকোর্টে কাজ বন্ধের জন্য আপিল করি । গত ২৫/৫/২০২৪ইং তারিখে হাই কোর্ট থেকে আমার এই জায়গার উপর ৬মাসের অস্থায়ি নিষেধাজ্ঞা জারী করে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মুকসুদপুরের মেয়ের জোর করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি হাই কোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা জরি করিয়েছি বলে মেয়র আসরাফুল আলম শিমুল আমাকে জানে মেরে ফেলে দেবার হুমকী দেয় যদি মামলা তুলে না ফেলি। আমার হুমকীর ব্যপারে আমি আমার নিরাপত্তার জন্য থানায় যাই মেয়রের ভয়ে কেই আমার মামলাটা নিলনা। আমি খুব বিপদে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আমাদের এই সম্পত্তির আরএস ৫৮ নং দক্ষিন চন্ডিবরদী মৌজার আরএস ৬৩ নং এসএ ৬৭ নং খতিয়ানের ৫৭৪ নং দাগের ৭০ শতাংশ জমির কর্ডীয় মালিক থাকেন আজাহার সর্দার পিং খালাসী সরদার গং। ৫৭৪ নং দাগের ৭০ শতাংশ জমি সরকার বাহাদুর টেংরাখোলা হাটবাজারের জন্য এলএ ৩৯/৬৩-৬৪ নং এলএ কেসে অধিগ্রগনের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সরকারের ফান্ডে টাকা না থাকায় সরকার বাহাদুর রেকর্ডীয় মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০/০৮/১৯৮২ তারিখের চিঠিতে তৎকালীন এলএ কর্মকর্তা অধিগ্রহণ আদেশ বাতিল করে আমার বাবা-চাচাদের নিকট ফেরত প্রদানের আদেশ দেন। ইতিমধ্যে রেকর্ডীয় মালিক আজাহার সরদার ৬ পুত্র ৪ কন্যা ওয়ারিশ রেখে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু হাটবাজার কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণকৃত জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করলে আজাহার সরদার এর ২ পুত্র আজিজুর রহমান ও ওলিয়ার রহমান বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে ৪৪/৮৯ নং মোকদ্দমা রুজু করেন। উক্ত মামলায় ২৫/০৩/৯১ তারিখ আমার বাপ চাচাদের পক্ষের অনুকূলে ডিক্রি হয়। সরকার বাহাদুর ৩৬/২০০৪ নং আপিল মোকদ্দমা রুজু করেন। আপিল মোকদ্দমায় সরকার বিপক্ষে রায় হয় ও ৪৪/৮৯ নং মামলার রায় ও ডিক্রি বহাল থাকে। পরবর্তীতে সরকার মহামান্য হাইকোর্টে সিভিল রিট মোকদ্দমা রুজু করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিজ্ঞ জেলা জজ কোর্টকে পূনবিচারের নির্দেশ প্রদান করেন। পূণর্বিচারেও পূর্ববর্তী রায় বহাল থাকে। আমরা উক্ত রায়ের ভিত্তিতে নালিশি জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে দখলে থেকে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে বসবাস করি। কিন্তু বিবাদীপক্ষ পুনরায় ২৮/০২/২০০৫ তারিখ উচ্ছেদ এর জন্য নোটিশ প্রদান করলে আমি ৪০/২০০৫ নং স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য মোকদ্দমা রুজু করি। উক্ত মোকদ্দমায় দোতরফা সূত্রে ০৮/০২/২০০৬ তারিখ বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ হয়। বিবাদীপক্ষ ২৩/২০০৬ নং আপিল মোকদ্দমা দায়ের করেন। আপিল মোকদ্দমা দোতরফা সূত্রে নামঞ্জুর হয় ও ৪০/২০০৫ মোকদ্দমার রায় ও ডিক্রি বহাল থাকে। ইতিমধ্যে হাল রেকর্ড শুরু হলে আরএস ৫৭৪ দাগের ৭০ শতাংশ জমির মধ্যে হাল ১৩২ দাগে ০১.২৫ শতাংশ ও ১৬৪ দাগে ০৬.৮২ শতাংশ মোট ০৮.০৭ শতাংশ জমি আমার বাবা আজিজুর রহমানের নামে ৬০৭ খতিয়ানে শুদ্ধ রেকর্ড হয়।
ইতিমধ্যে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করলে আমি এ জমি ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হই ও ভোগদখলে আছি। এ জমি ২২/৩/২০২০ তারিখের K-২০৭৬৬৭ নং দাখিলায় বাংলা ১৪২৬ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করি। নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করা স্বত্বেও মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২১/০১/২০২৪ ইং তারিখ ৬৪ নং স্মারকে আমাদের স্থাপনা উচ্ছেদ এর জন্য নোটিশ প্রদান করেন। আমরা ২৪/০১/২০২৪ ইং তারিখ উচ্ছেদ এর বিষয়ে উপরোক্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে জবাব দাখিল করলে আদালতের সমস্ত কাগজকে ভুয়া ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করে আমাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করেন। এব্যপারে আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আপনাদের মাধ্যমে আবেদন করছি য্হাতে আমি আমার বাপ দাদার সম্পত্তি ফিরে পাই।
এ ব্যপারে মকসুদপুর সদর পৌরসভার মেয়র আশ্রাফুল আলম (শিমুল মিয়া) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জায়গাটা সরকারের খাস খতিয়নের “ক” তফসিলের জায়গা। ওখানে বহুবছর ধরে মার্কেটের একটি সেড করা ছিল। সরকারের জায়গায় সরকার কাজ করছে। ৫০ বছর তার কোন স্থাপনা নির্মান করে নাই, সরকার যখন কাজ শুরু করেছে এখন বাঁধা দিচ্ছে ওরা। সরকারের নামে বিআরএস রেকর্ড রয়েছে ওটা তাদের নামে সংসধন করে আনলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে দেব। আর আমি কাউকে হুমকী দেই নাই ওরা আমার সম্মান হানি করার লক্ষ্যে এসকল কুচ্ছা রটিয়ে বেড়াচ্ছে।