প্রকাশিত,২৫,মে,২০২১
মোঃমিজানুর রহমান বাহার বিশেষ প্রতিনিধি:
তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত মানুষ তালের শাঁসে প্রশান্তি খুঁজছেন। নারী-পুরুষ ও শিশুরা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে তালের শাঁস খাচ্ছেন। তবে এ বছর তীব্র তাপদাহে তালের শাঁসের চাহিদা গত কয়েক বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা গ্রামাঞ্চল থেকে তাল সংগ্রহ করে সড়কের পাশে ও অলিগলিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, তালগাছ এশিয়া ও আফ্রিকার গ্রীষ্মকালীন ফল গাছ। ওই গাছের ফলকে তাল বলা হয়। গ্রামাঞ্চলে পানি তাল হিসেবে পরিচিত। তাল এরিকাসি পরিবারের বরাসুস গণের একটি সস্পূরক উদ্ভিদ। তালের ফল এবং বীজ বাঙালির খাদ্য। তালের ফলের ঘন নির্যাস থেকে তাল ফুলুরি তৈরি হয়। তালের বীজও খাওয়া হয় লেপা বা তালশাঁস নামে। তালে রয়েছে প্রচণ্ড ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক পটাশিয়াল, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ জলীয় অংশ, ক্যালরি ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালমিয়ান ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম ও ৪ মিলিগ্রাম রয়েছে
ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের থেকে এবারে তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। এরপরও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের। প্রচণ্ড তাপদহে ভালুকায় তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। মানুষ শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন। দাম কিছুটা বেশি হলেও সে দিকে তাকাচ্ছেন না ক্লান্ত ও পরিশ্রমী মানুষগুলো। শহরের বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষের কাছে তালের শাঁসের কদর বেশি।
তালের চাহিদা থাকায় বিচি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বড় তাল প্রতি বিচি শাঁস ৮টাকা করে তিন বিচি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকায়। আবার ছোট তালের বিচির শাঁস ৫ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা মুল্যের দিকে না তাকিয়ে স্বাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছেন।