প্রকাশিত,১১, নভেম্বর,২০২৩
সোহাগ হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নিত্য পণ্যের আমদানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারে দাম কুমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে সাধারন মানুষের মাঝে। বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি কমে ৯০ টাকা,ডিম পিচ ১০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ দাম কমে ১১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে নিত্য পণ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দ্রুত ভারতের সাথে কোটা চুক্তি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বানিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান,দেশের বাজারে প্রায়ই মোনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করে বিপাকে ফেলে নিম্ন আয়ের মানুষের। দূনীতিবাজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে আইনী ব্যবস্থা নিয়েও সিন্ডিকেট থামানো যায়নি। এতে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। তবে যখনই অযৌতিক দাম বাড়িয়েছে তখন দেখা গেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বাধ্য হয়ে এসব পণ্যের আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সিন্ডেকেট ভেঙে বাজার অনেকটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে। চলতি বছরের গেল তিন মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল নিত্য পণ্যের দাম। নানান কারন দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশের বাজারে ডিম ৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা,পেঁয়াজ ২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, কাচা মরিচ ৮০ থেকে ৯০০ টাকা ও আলু ২৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার বাধ্য হয়ে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে ভারত থেকে ডিম,পেঁয়াজ,কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য আমদানি হচ্ছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে আগামীতে বাজার নিয়ন্ত্রনে বড় ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্যশিষ্টরা।
সাধারন ক্রেতা মাসুদ জানান, বাজারে নিত্য পণ্যের দাম এখনও আগুন। তবে ভারত থেকে আমদানির কারনে কিছুটা কম দামে কিনতে পারছি। তবে আমদানি করে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে এটি সব সময় ঠিক না। এসব পণ্য আমদানিতে দেশের চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়ে। দেশের সিন্ডিকেটবাজদের বিরুদ্ধে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে।
বেনাপোল বাজারের ডিম বিক্রেতা নজরুল জানান, ভারত থেকে ডিম আমদানিতে দাম কুমতে শুরু করেছে বাজারে। প্রতিপিচে ২ টাকা পর্যন্ত কমে বড় সাইজের ডিম ১১ টাকা ও ছোট ডিম ১০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বেনাপোল বন্দরে ডিম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে আফিল এগ্রো,বিসমিল্লাহ ডিম ঘর ঝিকরগাছা ও আদর্শ ডিমের আড়ত নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান।
আলু কাঁচাঝাল ও পেঁয়াজ বিক্রেতা রাজু আলী জানান, আমদানির কারনে তারা মোকাম থেকে কম দামে আলু পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। বর্তমানে আলু খুরচা বাজারে ৪৫, কাঁচা ঝাল ১১৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি বিক্রী করা হচ্ছে। দাম আরো কমার সম্ভবনা আছে।
আমদানিকারক উজ্বল বিশ্বাস জানান, ভারত থেকে নিত্য পণ্য আমদানি যদি আরো সহজ করা যায় তবে সিন্ডিকেট থাকবেনা বাজারে। আর ভারতের সাথে কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে যে কোন ধরনের খাদ্য ঘাটতি অনেকটা পূরন হবে।
বেনাপোল বন্দরের উদ্ভীদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, নিত্য পণ্যের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে কম বেশি পেঁয়াজ,কাঁচামরিচ,ডাল ও ডিম আমদানি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত এসব পণ্য খালাস নিয়ে বাজারে সহবরাহ করতে পারে সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে।গত এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৪৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ,৬১ হাজার ৯৫০ পিচ মুরগীর ডিম ও ৬০০ মেট্রিক টন মসুরীর ডাল আমদানি হয়েছে। তবে ভারত সরকার প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের রফতানি মুল্য ১৫০ ডলার বৃদ্ধির পর থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে।
প্রেরক, সোহাগ হোসেন
বেনাপোল যশোর
১১/১১/২৩
আপনার মতামত লিখুন :