ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এর জন্মদিন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-০৭, ৪:১৯ অপরাহ্ন /
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এর জন্মদিন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা  ।

প্রকাশিত,০৭, আগস্ট,২০২৩

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জঃ

গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামান বিটু।তার নিজ অফিসে এক আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এর জন্মদিন উপলক্ষে সাংবাদিকদের জানান। ৭ আগস্ট, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ভাইয়ের জন্মদিন
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ভাই ।

সারাদেশে জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ববান, দয়ালু ও ক্যারিশমাটিক নেতা। জনদরদি রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বমহলে সমান গ্রহণযোগ্যতা। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে রাজনীতি তাঁর জীবন জুড়ে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমানে।

একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ, জনপ্রিয় নেতা, সৎ, চরিত্রবান এবং আদর্শ মানুষ। একজন মানুষের যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তার সব গুণাবলীই আছে ব্যারিস্টার শেখ নাঈমের।

শোকের মাস অগাস্টে জন্মদিন বলে জাতির জনক ও তাঁর শহীদ পরিবারের শোকাবহ স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কখনোই আড়ম্বপূর্ণ জন্মদিন পালন করেন না তিনি।

গোপালগঞ্জ-২ আসনের ৮ বারের নির্বাচিত সফল সাংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সফল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী, বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছোট ছেলে শেখ ফজলে নাঈম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের ছেলে শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সে হিসেবে শেখ নাঈম হলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা হলেন শেখ নাঈমের ফুফু।

তাঁর বিনয় ও অমায়িক ব্যবহার সকলকে আকৃষ্ট করে। তিনি উদার, নিরহংকার, অমায়িক এবং মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত। যে মানুষ তার সান্নিধ্যে একবার গিয়েছে, সেই মানুষই মুগ্ধ হয়েছে। দেশজুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে সাধারণ মানুষ তাঁকে কতটা ভালোবাসে।

বর্তমানে পুরো বাংলাদেশে এক পরিচিত নাম শেখ ফজলে নাঈম। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সাধারণ মানুষের কথা শোনেন। শুধু শুনেই ক্ষান্ত হন না। তাদের বিপদে আপদে তিনি তাদের সাহায্য করেন। বাংলাদেশের সব জেলার মানুষ আসেন তার কাছে। এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যে, তার কাছে এসে সাহায্য না পেয়ে ফিরে গেছেন।

বিপদে আপদে মানুষের ভরসার আশ্রয়স্থল শেখ নাঈম। জনকল্যাণমুখী রাজনীতির চর্চার কথা তিনি শুধু নেতাকর্মীদের অনুসরণ করতে বলেন তাই নয়, নিজেও তা করে দেখান।

দরিদ্র মানুষ কখনো তাঁর কাছ থেকে খালি হাতে ফেরে না। কারো চিকিৎসা, কারো সন্তানের পড়ার খরচ, কারো মেয়ের বিয়েসহ নানা প্রয়োজনে যারাই যখনই এসেছেন তাঁর কাছে। সবাই ফিরেছেন হাসিমুখে।

অনুসারী, ভক্ত এবং সহকর্মীদের কাছে তাঁর জীবন এবং কর্ম প্রেরণার। তিনি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও সবাইকে সময় দেন।

তিনি যেমন মিষ্টভাষী তেমনই বুদ্ধিদীপ্ত। দুর্বলের কাছে তিনি যেমন বন্ধু, আবার তেমনআ অন্যায়-অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর।

এক এগারোর সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে রাজপথে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে যে নেতারা অবিচল নেত্রীর মুক্তির দাবিতে সংগ্রাম করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম শেখ ফজলে নাঈম। ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি পেয়ে জননেত্রী সুধা সদনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকামী জনতাকে যখন সম্ভাষণ জানাচ্ছিলেন তখন নেত্রীর সাথেই ছিলেন তরুণ তুর্কী শেখ ফজলে নাঈম।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে অসহায়, অসচ্ছল এবং হঠাৎ কর্মহীন হওয়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।