বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থের যোগানদাতা বিদ্যুৎ-কবীরের বিচার চাইলেন গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখ হারানো দুর্জয়,


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-০২-২২, ৬:৩০ অপরাহ্ন /
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থের যোগানদাতা বিদ্যুৎ-কবীরের বিচার চাইলেন গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখ হারানো দুর্জয়,

প্রকাশিত

মারুফ সরকার, প্রতিবেদনঃ

২০ জুলাই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত হন দুর্জয় আহমেদ এবং তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টাসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দুর্জয় আহমেদ।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আন্দোলনে আমার দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছি। এরপরও আমার উপর হামলাকারীরা এখনো বিচারের আওতায় আসেনি। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে বিদ্যুৎ ঘোষ ও কবীর আহমেদ প্রায়ই আমার বাসায় লোক পাঠিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমি মামলা তুলে নিচ্ছি না বলে এখন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা রাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ঘোষ ও কবীর আহমেদসহ এজাহারভুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। ’
দুর্জয় আহমেদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল কবির আহমেদ খান ও বিদ্যুৎ ঘোষসহ তাদের বাহিনী।

তাদের ছোড়া গুলিতে আহত হন দুর্জয় নামের এই ব্যক্তি।
গুলিতে তার দুটি চোখ এখন নষ্ট। চিরদিনের জন্য তিনি অন্ধ হয়ে গেছেন।

জানা গেছে, বাড্ডা থানায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন আহত মো. দুর্জয় আহমেদ। মামলার অন্যতম আসামি করা হয়েছে কবির আহমেদ ও বিদ্যুৎ ঘোষকে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে গত ২০ জুলাই সকালে মধ্যবাড্ডা ইউলুপের নিচে পোস্ট অফিস গলির মাথায় তারা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালান।
আসামিদের ছোড়া গুলিতে দুর্জয়ের দুই চোখই অন্ধ হয়ে যায়। এর বাইরে তিনি মাথায়ও আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ মামলায় কবির আহমেদকে অর্থের জোগানদাতা এবং বিদ্যুৎ ঘোষকে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই দুই আসামির বিরুদ্ধে বিধবার অর্থ আত্মসাৎ, জাল জালিয়াতি প্রতারণা, অর্থ পাচারসহ নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।