প্রকাশিত,০১,অক্টোবর
সোহাগ হোসেন বেনাপোল ঃ
যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে৩ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাগজপত্র বিহীন বন্দরের ১৭নং শেড থেকে উন্নতমানের গার্মেন্টস পণ্য ট্রাকে লোড করার সময় আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আনুমানিক ৩ কোটি টাকার এ চালানটি ভারত থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বন্দরের শেড ইনচার্জ আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় আনলোড হয় ভারতীয় ট্রাক থেকে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে ওই পণ্য কাগজপত্র বিহীন খুলনা মেট্রো-ট ১১-২১৬৭নং কাভার্ডভ্যানে লোড করার সময় কাস্টমস আটক করে।
সরেজমিনে স্থল বন্দরের ১৭নং শেডে গিয়ে দেখা যায়, উন্নত মানের গার্মেন্টস পণ্য শাড়ি থ্রি-পিস, প্যান্টের পিস, বোরখা কাপড় সুফার কভারের কিছু পণ্য কাভারভ্যানে উঠানো হয়। এ সময় গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উক্ত পণ্য আটক করে। তবে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই মালের স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নেই।
শেড ইনচার্জ মতিন বলেন, এই পণ্য কার আমি জাানি না। কিভাবে শেডে নামল তাও আমি বলতে পারি না। তবে সে ওই শেডের ইনচার্জ চাবি তার কাছে থাকে কিভাবে এই অবৈধ পণ্য বন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রবেশ করল এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এখানে প্রান্ত নামে একজন এনজিও কর্মী থাকে সে মিয়ান নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্সির আব্দুল্লাহ নামে একজন বর্ডারম্যানের সহযোগিতায় শেডে পণ্য আনলোড করে আমার অনুপস্থিতিতে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এবং এ্যাসোসিয়েশনের বই এবং ওই সিএন্ড এফ এর অফিস অনেক খোঁজা খুঁজি করে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থল বন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানা যায়, ওই নামে কোন সিএন্ডএফ এজেন্ড নাই এবং আব্দুল্লাহ নামে কোন বর্ডার ম্যান ও নাই।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে স্থল বন্দর ও কাস্টমস এর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। আর এসব শুল্ক ফাকি দিয়ে অসাধু আমদানি কারক ও সিএন্ড সদস্যরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে।
পণ্য আটক করে পরীক্ষণ করার সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, কি পরিমাণ পণ্য আছে তা ওজন করে পরবর্তীতে জানানো যাবে। তারা আরো জানায়, আমদানিকৃত এসব পণ্যর কোন কাগজপত্র এবং পণ্যের দাবিদার কোন মালিক পাওয়া যায়নি।
প্রেরক, সোহাগ হোসেন
বেনাপোল যশোর
১/১০/২৪
আপনার মতামত লিখুন :