প্রকাশিত, ০১,জুন, ২০২৪
সোহাগ হোসেন বেনাপোল থেকে ঃ
দেশে কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ মাস পর আবারও যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে দেশের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৩টি ট্রাকে ১২০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
আমদানিকারকরা হলেন, রাজ এন্টারপ্রাইজ, শিমু এন্টারপ্রাইজ ও সেুরী প্লাগ। বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে এসব কাঁচামরিচ যাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে।
বন্দর সূত্র জানায়, প্রতি মেট্রিক টন ২৩৮ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে প্রায় ৭০ টাকা কেজি। এরপর রয়েছে পরিবহন খরচ। তবে আমদানি শুল্ক কমলে কাঁচামরিচ কম দামে বাজারে সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানান আমদানিকারকরা।
এদিকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে চলে না যায় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা। আমদানির খবরে এক দিনেই বন্দর এলাকার পাইকারী বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে। তবে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিকে দেশে কাঁচামরিচের দাম ৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল।
সাধারণ ক্রেতা নজরুল জানান, ২০০ টাকায় কাঁচামরিচ কেজি কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন আমদানি শুরু হয়েছে দাম কমতে পারে।
ক্রেতা মিলন জানান, কাঁচামরিচ আমদানির খবরেই বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কারন ছাড়াই দাম বেড়েছে।
বেনাপোল বন্দরে খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, প্রায় ১০ মাস পর ভারত থেকে আবারো কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত তাদের পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে পারেন সে বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, দুই দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ ১৩টি ট্রাকে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার ৫টি ট্রাকে ৩৭ মেট্রিক টন ও বৃহস্পতিবার ৮টি ট্রাকে ৮৩ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। পণ্য চালান দ্রুত খালাস দিতে বন্দরের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রেরক, সোহাগ হোসেন
বেনাপোল যশোর
১/৬/২৪