প্রকাশিত,০৯, নভেম্বর,২০২৩
সোহাগ হোসেন বেনাপোল থেকেঃ
যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে পন্য পরীক্ষন ও পাসপোর্টধারীদের ব্যাগেজ তাল্লাশীতে ব্যবহৃত ৪ টি স্ক্যানিং মেশিনের মধ্যে ৩ টি মেশিন অচল হয়ে পড়ে থাকায় হয়রানির পাশাপাশি ঝুকিতে পড়েছে নিরাপদ বানিজ্য যাত্রী সেবা। অচল স্ক্যানিং মেশিন দূর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারনে অবাধে অনিয়ম ও চোরাচালানের ঘটনা ঘটছে এ বন্দরে। অপরাধীরা অবাধে বাংলাদেশ অংশ পেরিয়ে গেলেও স্বর্নবারসহ আটক হচ্ছে ভারতে। স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার এ্যাসোসিয়েটস বলছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অবহত করা হয়েছে।
বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে ৬ বছর আগে ৪টি স্ক্যানার মেশিন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয় চীন সরকার। বেনাপোল বন্দরে নিরাপদ বানিজ্যের ক্ষেত্রে ঝুকি বাড়ায় এসময়ে একটি স্ক্যানার স্থাপন হয় বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষনার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। এছাড়া ইমিগ্রেশন কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে এনবিআরের অর্থায়নের বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে আরো ৩ টি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিন কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। গত কয়েক মাস ধরে স্ক্যানিং মেশিন গুলো যান্ত্রিক ত্রুটিতে বার বার নষ্ট হলেও।সপ্তাহ থেকে একেবারে অচল হয়ে বন্ধ রয়েছে, মোবাইল স্ক্যানার আর দু মাস ধরে অচল কাস্টমস ইমিগ্রেশনের দুটি স্ক্যানার। যা মেরামত করতে বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু সেটি চুক্তি অনুযায়ী কাস্টমস ব্যায় বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় স্ক্যানিং ৩টির কার্যক্রম সম্পূর্ন বন্ধ আছে। এতে গার্মেন্টস পণ্যসহ জরুরী পণ্য খালাস করতে না পারায় বানিজ্য ব্যহতের পাশাপাশি চোরাচালানের সুযোগ দিন দিন বেড়ে চলেছে।
প্রেরক,সোহাগ হোসেন
বেনাপোল যশোর
৯/১১/২৩
আপনার মতামত লিখুন :