বেনাপোল আজিজ মিষ্টান্ন ভান্ডারে বাজার ছাড়া মিষ্টির দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১০-১৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ন /
বেনাপোল আজিজ মিষ্টান্ন ভান্ডারে বাজার ছাড়া মিষ্টির দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ।

প্রকাশিত,১৫, অক্টোবর,২০২৩

সোহাগ হোসেন উপজেলা প্রতিনিধিঃ

যশোরের বেনাপোলে অবস্থিত আজিজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে বাজার মূল্য ছাড়া মিষ্টির দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।এলাকাবাসীর দাবি ভ্রাম্যমান আদালতের সদস্যরা গোপন এসে ক্রেতা সেজে তার দোকানে অভিযান করলে হাতেনাতে ধরতে পারবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে মিষ্টির দাম ২শত টাকা সে মিষ্টির দাম ২শত ৫০টাকা,৩শত টাকা দামের মিষ্টি সাড়ে৩শত টাকা,সন্দেশ সাড়ে ৩ শত সেখানে ৪ শত টাকা,দধি১শত ২০টাকা সে নিচ্ছে ১শত৪০টাকা।

মিষ্টি ক্রেতা ইলিয়াস কবির জানান,আজিজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ভোক্তা অধিকার লংঘন করে মিষ্টি বিক্রিয় করছে।বাজার দর ছাড়া প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ১শত টাকা বেশি দামে বিক্রিয় করছে।আবার মিষ্টির
ঠোঙা কেনা ৫ টাকা কিন্তু ঠোঙা ওজন হয় ১০০ গ্রাম তাহলে সেটা বিক্রি করছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। দধি দামও বাজার ছাড়া কেজিতে ৩০টাকা বেশি।

দধির খুরি ৬ টাকা দরে ক্রয় করে থাকে।
যে মাটির খুরিতে দধি বিক্রিয় করা হয় সেই খুরির ওজন ২ শত গ্রাম তাহলে খুরি কেনা হচ্ছে ২৮ টাকায়।এভাবে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।
মিষ্টি দাম বেশি নেয়ার বিষয় বলা হলে আজিজ বলেন বেশি দামে বিক্রিয় করছি না। মিষ্টি বানানোর সব উপকরনের দাম বাড়াতে মিষ্টির দাম একটু বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিছু ক্রেতা জানান আজিজ মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে অনেক সরকারি কর্মকর্তারা মিষ্টি ক্রয় করে থাকে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে।স্থানীয় প্রশাসন কে সে তোয়াক্কা করে না।

বেনাপোল বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান জানান,আজিজ মিষ্টান্ন ভান্ডারের নামে মাঝে মাঝে অভিযোগ আসে তাকে আমরা ডেকে সতর্ক করে দেন।তিনি আরো বলেন একই বাজারে দুই দামে কেন মিষ্টি বিক্রিয় হবে এ ব্যাপারে কমিটি পদক্ষেপ নেবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট জানান আমরা মাঝে মাঝে বাজার গুলোতে অভিযান চালায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মিষ্টির দাম বেশি নেওয়া এটা দুঃখজনক বিষয়টি দেখা হবে।

প্রেরক,সোহাগ হোসেন
বেনাপোল যশোর
১৫/১০ /২০২৩