প্রকাশিত,১২,ডিসেম্বর
হৃদয় হোসাইন,বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে ইট উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। অগণিত ইটভাটায় বছরে প্রায় ২৩ বিলিয়নের বেশি ইট বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। জিডিপিতে ইটশিল্প প্রায় ১ শতাংশ অবদান রাখছে। বছরে প্রায় ২০৫ বিলিয়ন টাকা ইট উৎপাদনকারী কারখানাগুলো থেকে জিডিপিতে যোগ হচ্ছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশের ইটখোলাগুলোয় কর্মরত। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে ইটভাটার সংখ্যা ১০ বছরে ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পাবনার বেড়া উপজেলায় অসংখ্য ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে জাতসাখিনী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি। রুপপুর,নাকালিয়া, কয়েকটি ভাটা রয়েছে। জাতসাখিনীর খাস আমিনপুর ভাটা গ্রাম নামে পরিচিত। এ মহল্লায় পাশাপাশি ৫ থেকে ৬ টি ইট ভাটা রয়েছে। একটি মহল্লায় পাশাপাশি এত গুলো ভাটা পরিবেশ এর জন্য শুভ সংকেত নয়। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেসার্স একতা,সততা,আলো,আল-মদিনা,সহ কয়েকটি ভাটা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,চুল্লি আইন অনুযায়ী এগুলো অবৈধ। ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠখড়ি ব্যবহার হয়। ফসলী জমির মাটির কেটে কৃত্তিম পাহাড় তৈরি করা হয়েছে। এ মাটি ব্যাবহার করা হচ্ছে ইট তৈরীতে। সব মিলিয়ে জনবসতি এলাকায় ফসলি জমি নষ্ট করে গড়ে ওঠা ইট ভাটা বড় কারণ হয়ে দারিয়েছে পরিবেশ দূষণও স্বাস্থ্যঝুঁকির। আইন অনুযায়ী চুল্লীর উচ্চতা হবে ১২০ ফুট। আর এসকল চুল্লীর উচ্চতা আনুমানিক প্রায় ৫০থেকে ৬০ ফুট । পরিবেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। ইট ভাটার কালো ধূয়া মানব দেহ ও সবুজ বৃক্ষের জন্য বিপদ জনক। এভাবে চলতে থাকলে স্বল্প সময়ের মধ্যে হুমকির মুখে পড়বে জীববৈচিত্র্য। স্থানীয়রা বলছেন ভাটা প্রস্তুত আইন মেনে ভাটা তৈরি করা হোক। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও উন্নয়নের তাগিদে এখনি এ সকল অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যাবস্থা গ্রহণ জরুরি।তা না হলে একদিন ইট পাথরের তৈরি দালান থাকবে মানুষের সুস্থ ভাবে বসবাসের পরিবেশ থাকবে না।এ ব্যাপারে পরিবেশবিদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে নীরব ভূমিকায় দেখা গেছে। এ বিষয় বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউ এনও) মো: মোরশেদুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি যাচাই-বাছাই সরেজমিন পরিদর্শন করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আপনার মতামত লিখুন :