প্রকাশিত,১১, ফেব্রুয়ারি,২০২৪
মোঃ মুক্তাদির হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম ভূইয়া হুমায়ুন এর ৭৫তম জন্ম দিন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা।
তিনি ১৯৪৯ সনের ১০ ফেব্রুয়ারী গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সোম গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনির পিতা মরহুম মো. আজিজুর রহমান ভূইয়া ও মাতা মরহুমা উম্মে কুলসুম বেগম। তিনি ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ সোম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা ও ১৯৬৬ই সনে কালীগঞ্জ আর আর এন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসিতে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সনে কলেজ শাখা ছাত্র লীগের সহ-সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৬৮ সনে মহানগর ছাত্রলীগের সকল সদস্যরা আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন করায় তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়াজারী হয়। তখন তিনি ১৯৬৯ সনে নরসিংদী সরকারী কলেজে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে ১৯৬৯ সনে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন রুপগঞ্জ থানার যুগ্ম আহবায়ক ও ১৯৭০-৭১ সনে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সনের ১৫ই ফেব্রæয়ারী সার্জেন্ট জহুর দিবসে ইকবাল হল মাঠে প্যারেডে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দান করেন। ১৯৭১ সনের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেস কোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর জনসভায় ছাত্রলীগের মিছিলে নেতৃত্ব দান করেন। ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চের পর থেকে তিনি রুপগঞ্জ থানার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সনের মে মাসে কে বি এম মফিজুর রহমান খান ও আখতারউজ্জামানের নেতৃত্বে ভারতে যান এবং উত্তর প্রদেশে টান্ডুয়ায় মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সনের আগষ্ট মাস হতে ডিসেম্ভর পর্যন্ত মুজিব বাহিনীর রুপগঞ্জ থানার গ্রæপ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ সনে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিমান বন্দরে যোগদান করেন। ১৯৭৩ সনে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন। ১৯৭৩ সনে ছাত্র জীবন শেষে বাংলাদেশ কৃষক লীগের রুপগঞ্জ থানায় আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সনের ১৫ আগষ্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যা কান্ডের পর সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করায় তাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ও পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়ে ৮ বছর তিনি আতœ গোপনে ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সনে জাতীয় কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক পরে ১৯৮৬ সনে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ হতে ২০০১ সন পর্যন্ত তিনি কালীগঞ্জ উপজেলাধীন তুমলিয়া ইউনিয়নের একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোম মোজাদ্দেদীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৮ সনে উপজেলার বোয়ালী উচ্চ বিদ্যালয় হতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৪ সনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালীগঞ্জ থানার সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ২০১২ সনে গাজীপুর জেলা জ্ঞাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাহার স্ত্রী আফরোজা সুলতানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তিনি এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তানের জনক।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম ভূইয়া হুমায়ুন এর ৭৫তম জন্ম দিনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামাত, বাংলাদেশ হিজবুর রাসুল (দ.), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের গাজীপুর জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মোখলেছুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মোঃ আলামিন দেওয়ান আল আবেদী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান হোসেন পনির, কালীগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম খন্দকার,সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুক্তাদির হোসেন জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।