প্রকাশিত,২৫,সেপ্টেম্বর, ২০২৪
শেরপুর, জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুর জেলার অন্তর্গত শ্রীবরদী উপজেলা রাণীশিমুল ইউনিয়নের বি এন পি এর সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত হোসেন আকন্দদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী,হত্যার হুমকির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছে স্থানীয় সাধারণ জনতা। রাজনৈতিকভাবে বি এন পি নেতা মিল্লাত হোসেন আকন্দকে কোনঠাসা করার জন্য এই মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
রাণীশিমুল ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলহাজ্ব নুরুল হক বি এন পি এর সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত হোসেন আকন্দের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির কথা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও শ্রীবরদী থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেয়।
এ বিষয়ে টেংগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মাওলা মালু জানান, মিল্লাত হোসেন আকন্দ ইউনিয়নের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। অন্যায়, জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সে সর্বদায় সোচ্চার ছিলেন। হাসিনার শাসনামলে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনের পর ভায়াডাংগায় বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজি বৃদ্ধিপেলে মিল্লাত হোসেন আকন্দ সেগুলোর বাধা প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতেই প্রকৃত চাঁদাবাজ লুটতারাজরা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য মিল্লাত হোসেন আকন্দের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
বিলভরট গ্রামের বাসিন্দা আতাউল্লাহ সিদ্দিক পলাশ বলেন,মিল্লাত হোসেন আকন্দ গণমানুষের নেতাতে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থবাদী একটা গ্রুপ তার জনপ্রিয়তাকে ধুলিসাৎ করতে এই মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ প্রণয়ন করেছে। তিনি আরো জানান,নুরুল হক নুরকে ব্যবহার করে স্থানীয় বি এন পি এর একটা অংশ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিল্লাত হোসেন আকন্দকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। যা রাণীশিমুল ইউনিয়নবাসী কখনোই হতে দেবেনা।
শ্রীবরদী উপজেলার সাবেক ছাত্রদল নেতা শামিম কবির বলেন,মিল্লাত হোসেন আকন্দ তার কর্মস্থল থেকে উপার্জন করে। তার সম্পর্কে ইউনিয়নবাসী ইতিবাচক। আনীত অভিযোগের পুরোটা ষড়যন্ত্র বলেই জনতা বিশ্বাস করে।
ভুক্তভোগী বি এন পি নেতা মিল্লাত হোসেন আকন্দ বলেন, আমি আমার জীবনের বৃহৎ অংশ জালিমের কারাগারে কাটিয়েছি। অন্যায়ের সাথে কখনো মাথা নত করেনি। চাঁদাবাজরা ভায়াডাংগা মুক্তিযোদ্ধা অফিস দখল, সরকারি গাছকাটা,মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া অব্যাহত রাখলে আমি বাঁধা দেয়। আওয়ামী শাসনমলে আলহাজ্ব নুরুল হকের ষড়যন্ত্রে আমি ৪ মাস কারাবরণ করি। নুরুল হক আমার সঙ্গে এনিয়ে কথা বলতে আসলে আমি তাকে চলে যেতে বলি। পরবর্তীতে এঘটনাকে বিকৃতকরে রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য চাঁদাবাজ লুটতরাজরা এ মিথ্যা অভিযোগ করেন।
নুরুল হকের অভিযোগে সাক্ষ্য দেওয়া (সংবাদ পত্রে নাম উল্লেখ করা হয়) রাণিশমূল ইউনিয়নের বি এন পি এর সহ সভাপতি মীর রোকনুজ্জামান লাখু বলেন, আমি এ সম্পর্কে কোন কিছুই জানিনা। আমার নাম কেন ব্যবহার করা হলো এটাই আমার বোধগম্য নই।
আপনার মতামত লিখুন :