প্রকাশিত,২৭,জুন, ২০২৪
মারুফ সরকার,স্টাফ রিপোটার:
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বৃহত্তর ফরিদপুর ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক পংকজ কর্মকারের দূর্নীতির কারণে মুখ থুবরে পড়েছে প্রকল্পের কাজ। প্রকল্প পরিচালকের দূর্নীতির ধরন দেখলে যে কেউ হতভাগ হয়ে পড়বেন। একাধিক সূত্রে জানা যায়, একজন প্রকল্প পরিচালককে সরিয়ে তিনি প্রকল্প পরিচালক হন এবং পরবর্তীতে তার সেচ্ছাচারিতার কারনে বিভিন্নভাবে সাবেক প্রকল্প পরিচালককে দিষ্টাব করার কারনে আগের প্রকল্প পরিচালক ষ্টোক করে মারা যায়। উপরের দিকের কর্মকর্তা তার নিজ এলাকার হওয়ায় তার যোগাযোগ ভাল হওয়ায় তিনি আর কাওকে পাত্তা দেন না। প্রকল্প দলিল অনুযায়ী ফরিদপুরে থাকার কথা থাকলেও সে সবসময় ঢাকায় অবস্থান করে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, পংকজ কর্মকার প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যোগদান করে সংস্থার নিয়ম কানন কোন তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দেদারচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পংকজ কর্মকার, ঘাপটি মেরে থাকা একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। নিজেকে সে সরকার দলীয় সমর্থক হিসেবে পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করলেও প্রকৃতপক্ষে সে পারিবারিকভাবে এবং ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে সর্বদায় মনেপ্রাণে একজন কট্টরপন্থী বিএনপিকর্মী ছিল। যা ছাত্র জিবনের কর্মকান্ড খুজলেই জানা যাবে। সে হিন্দু ধর্মালম্বী হওয়ায় বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকায় সে তার আসল চেহারা আড়াল করে সরকার দলীয় সমর্থকের নাটক করছে মাত্র।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পংকজ কর্মকার চাকরীর পাশাপাশি শশুরবাড়ীর লোকজনের পরিচয় গোপন করে ঠিকাদার সাজিয়ে প্রকল্পের বিভিন্ন টেন্ডার হাতিয়ে নিয়ে যেনতেনভাবে প্রকল্পের কাজ সম্পাদন করে সরকারি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ কারনে ফরিদপুরের ঠিকাদারদের ভয়ে একাধিকবার ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পালিয়ে থাকতো। সে এই প্রকল্পে কর্মরত থেকে কমপক্ষে ৩০-৪০ কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছে। এখানেও সে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে দরপত্র আহবান করার পূর্বেই সে তার পছন্দের ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ঘুস গ্রহন করে সে ঠিকাদারকে কাজপাইয়ে দিয়েছে। টাকার বিনিময়ে প্রকল্পের প্রতিটি কারিগরী কাজের মান সঠিক না হলেও তা সঠিক আছে মর্মে গ্রহন করছে।
অপরদিকে সে তার পছন্দের ঠিকাদারদের অবৈধভাবে কাজ দিয়ে কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি করছে। সে শুধু কিছুকাজ উর্ধবতন কর্মকর্তাদের দেখানোর জন্য সুন্দরভাবে রেডি করে পরিদর্শন কমিটির নিকট উপস্থাপন করে। অন্য কাজের অবস্থা খুবই খারপ যা সরজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে তার এই অনিয়মের কিছু চিত্র বানিজ্যিক অডিট টিমের নিকট ধরা পড়েছে এবং অডিট আপত্তি হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পংকজ কর্মকার তার অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে ২১৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ১.৮৫ কোটি টাকা দিয়ে ক্রয় করেছে। এ ছাড়া ঢাকার পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে এবং বসুন্ধারায় তার একটি করে প্লট রয়েছে। সে ঢাকা-মাওয়া রোডে একাধকি স্থানে ২০-২৫ বিঘা জমি ক্রয় করছে। সে শশুরবাড়ীর গ্রামে প্রচুর জমি ক্রয় করা ছাড়াও সে টাঙ্গাইল শহরের এলেঙ্গায় নিজ বাড়ীর আশেপাশে প্রায় ২০ বিঘা জমি ক্রয় করে সেখানে রিসোর্ট তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহন করছে প্রকল্প শেষে সে উক্ত কাজে হাত দিবেন। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তার রয়েছে প্রাইভেট কার যা সে শশুরবাড়ী রখেছে। এসব সম্পদের বেশির ভাগ তার নিজের নামে করেনি। তবে প্রকৃত মালিককে তার খবর নিলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। তার এত অঢেল অর্থ রয়েছে যে, শোনা যায় সে ভারতে একটি বিলাশবহুল বাড়ী ও ২টি ফ্লাট ক্রয় করেছে এবং প্রচুর টাকা প্রাচার করছে।
প্রকৌশলী পংকজ কর্মকার একজন বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত৷ প্রকৌশলী পংকজ কর্মকার সহ বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল হিন্দু কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। ছাত্রদল করতেন বিধায় বিএনপি সরকারের আমলে যাচাই-বাছাই করে হাওয়া ভবন থেকে তালিকা অনুযায়ী মাধ্যমে চাকুরী হয়।
এছাড়া ডিপিপিতে বিভিন্ন ক্রয়/কাজের পদ্ধতি নির্দিষ্ট করা থাকলেও তিনি নিজের ইচ্ছামত ক্রয় পদ্ধতি অবলম্বন করে নিজে লাভবান হওয়াসহ নিজের পছন্দের লোককে কাজ প্রদান করে সরকারের অর্থের অপচয় করেছেন অবৈধ পন্থায়।
আপনার মতামত লিখুন :