প্রকাশিত,১২, অক্টোবর,২০২৩
বরিশাল প্রতিনিধি॥
বরিশালের বানারীপাড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষন করে অন্তঃসত্ত্বা করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৯ নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মাহাবুব খলিফার ছেলে স্থানীয় দক্ষিণ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আলী হোসাইন খলিফার (১৬) কে অভিযুক্ত করে ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর বাবা মজনু শেখ বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাচক্রে জানা যায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ঐ নারীর পরিবার ঐ নারীকে বিভিন্ন ক্লিনিকে এবোশনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অতপর প্রসব বেদনা উঠলে বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাড়ে ৭ মাসের মৃত সন্তান প্রসব করে প্রতিবন্ধী ঐ নারী। ভিকটিমের বাবা মজনু শেখ জানান, তার মেয়ের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দাম্পত্য কলহের জেরে বিয়ের ৫/৬ বছর পরে তার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বিভিন্ন কষ্ট-যন্ত্রনায় ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেন।দিনমজুর মজনু শেখ জানান, গত ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে অভিযুক্ত প্রতিবেশী আলী হোসাইন তার মেয়েকে কয়েকবার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে । অথচ সরেজমিনে জানা যায় এ ঘটনায় ভিকটিম এতিপূর্বে ৩/৪ জনের নাম উল্লেখ করেছে, যেখানে মাহবুব খলিফার ছেলের নাম ছিল না। এমনকি ঘৃনীত কথা নিজের বাবার নাম ও উল্লেখ করেছে। একটি ভিডিও ফুটেজে প্রমান করে যে ভিমটিমকে জিজ্ঞাসা করলে সে মাহবুব খলিফার ছেলের কথা বলেনি। ভিকটিমের বাবা মজনু বলেন তুই কি চেন মাহবুবের ছেলে আলী হোসাইন। যে মেয়ে ৩/৪ জনার নাম বলতে পারে সে কেন হোসাইনকে চিনবে না এই প্রশ্ন সবার মধ্যে।
স্থানীয়দের অভিমত মাহাবুব খলিফা এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সন্মানীত ব্যক্তি। তাই তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল ঐ নারীর বাবাকে ইন্ধন দিয়ে অন্যদের নাম বাদ দিয়ে শুধু তার ছেলেকে জড়িয়ে মামলা দায়ের করিয়েছে।
এ ব্যপারে মাহাবুব খলিফা মুঠোফোনে বলেন আমার ছেলে নির্দোষ। তিনি বলেন তার ছেলে হোসাইন আগামী বছর দক্ষিণ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। বর্তমানে সে টেস্ট পরীক্ষা দিচ্ছে। তার বয়স ১৬ বছর ৩ মাস। অথচ আমার নাবালক ছেলের বয়স মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ বছর। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, মৃত নবজাতককে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ডিএনএ টেষ্ট ও পোস্টমর্টেম জন্য পাঠানো হয়। আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে
গ্রেফতারের পরে আসামীর ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি প্রসূতি কিছুটা সুস্থ হলে তার ও ডি এন এ টেস্ট করা হবে। বর্তমানে মৃত্যু সন্তানের ময়না তদন্ত ও ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :