বঙ্গবন্ধু কে অস্বীকার ও অপমান করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৮-৩০, ৯:৩৩ অপরাহ্ন /
বঙ্গবন্ধু কে অস্বীকার ও অপমান করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

প্রকাশিত,৩০,আগস্ট

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিতে,
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বঙ্গবন্ধু কে অপমান করে বাংলাদেশে কোনো নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না। আমরা তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তার জন্য একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে স্বীকার করে যতটা সম্মানের পাপ পোষে ততটা দিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আজ ৩০ শে আগষ্ট শুক্রবার ব্যাক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি ।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন যতক্ষণ উনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে থাকবেন, ততক্ষণ আমিও তার সাথে থাকবো। তিনি বলেন আমি একজন মুসলমান হিসেবে আল্লাহ রাসূল ছাড়া আমি আর কাউকে পরোয়া করিনা, আমি আল্লাহ রাসুলের তরিকা অনুযায়ী জীবন চলি বাকি জীবনটাও আমি সেইভাবে চালাবো। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের কে ভালোবাসার পরে আমার প্রেম আমার ভালোবাসা সমস্ত টাই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিকশাওয়ালা হতাম, না হয়তো গরু রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধু যখন আইয়ুব খানের সময় বক্তব্য দিতো তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতো তখন আমার ভয়ে হাত পা কাপতো।
বঙ্গবন্ধু কে পেয়ে আমি দেশ কে ভালো বাসতে শিখেছি। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ কাজ না অনেক ধার প্রতিঘাত সহ্য করে দেশপ্রেম অর্জন করতে হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দের উদ্যেশ্য করে তিনি বলেন ঝড় তুফান যখন আসে সেটা আবার কেটেও যায়। কোন অন্ধকার চির স্থায়ী নয়। কোন দুর্যোগ স্থায়ী নয়।
আকাশ আবার পরিষ্কার হবে। পরে টুঙ্গিপাড়া বাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি বলেন আমি আর জীবনে এখানে আসতে পারবো কিনা জানিনা। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে এই দুর্যোগ সময় বঙ্গবন্ধুর সমাধিকে সুন্দরভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করবেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি খাওয়ার সময় খাই নামাজের সময় নামাজ পড়ি। আমি আজ টুঙ্গিপাড়া এসেছি আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করার জন্য। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চেয়েছি যখন সকলেই গর্তে ছিল। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল।
বিনিময়ে আমি মানুষের কাছে সম্মান পেলেও যাদের কাছে সম্মান পাওয়ার কথা তাদের কাছে পায়নি। বরঞ্চ আমাদের কে আরো অসম্মান আর অপমান করা হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ নয়। এটা মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামীলীগ, গরিব দুঃখী আওয়ামীলীগ। সেই আওয়ামী লীগ আর এই আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি আগেও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, এখনো বঙ্গবন্ধুর আছি এবং বাকি জীবন তাঁর আদর্শ নিয়ে ই বেঁচে থাকবো।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১২ টায় তিনি ব্যাক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দূরুদ পাঠ করে বঙ্গবন্ধু সহ ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট তার পরিবারের সকল নিহত সদস্য এবং ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এসময় সফর সঙ্গী হিসেবে তার নিজ দল জাতীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এবং গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত
ছিলেন।