প্রকাশিত,১৭, অক্টোবর,২০২৩
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মতলব উত্তর উপজেলায় কথিত ও হলুদ সাংবাদিক কবির প্রধানের যন্ত্রণনায় অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। তথাকথিত আইপিটিভি (ইউটিউব), নিউজ পোর্টাল, যত্রতত্র ফেসবুক লাইভ, প্রেস লেখা স্টিকার, আইডি কার্ড ঝুলিয়ে অবাধে চলাচল করছেন কথিত সাংবাদিক কবির। অথচ তার চ্যানেলের কোনো অনুমোদন নেই, নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাও। শুধুমাত্র পেশা পরিবর্তন করেই হয়ে গেছে সাংবাদিক।
মাথায় করে পলিথিন বিক্রেতা থেকে রাতারাতি সাংবাদিক হয়ে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মতলবের অলিগলি। সংবাদ লিখতে না পারলেও গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। এমনকি সাংবাদিকতার বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও তাদের নেই।
কবির উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের সরদারকান্দি গ্রামের রব প্রধানের ছেলে। গতকাল ১৬ অক্টোবর রাত থেকে স্থানীয় এক সৌদী প্রবাসী মুক্তার হোসেন ফেসবুক আইডি থেকে একাধীক স্ট্যাটাস দেন কথিত সাংবাদিক কবিরের বিরুদ্ধে ওই প্রবাসীর নিকট থেকে মুঠোফোনে চাঁদাদাবী করেন তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের বরাত দিয়ে। যা রীতিমত তোলপাড়।
স্থানীয়রা জানান, কবির মাথায় করে পলিথিন নিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন দোকানপাটে বিক্রি করে। হঠাৎ শুনি সে নাকি সাংবাদিক বুনে গেছে। সেভেন-এইট পাস ছেলে কিভাবে সাংবাদিক হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়!।
গতবছর মা ইলিশ নিষিদ্ধঘোষিত সময়ে সাংবাদিক পরিচয়ে ২ হালি মাছ নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। শুধু তাই নয় সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকার লোকজনদের সাথে জমিজামা নিয়ে নানাবীদ বিরোধে জড়াচ্ছে
বিভিন্নজনদের নিকট টাকা চাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, সে তো ভালো করে নামও লিখতে পারেনা। সাংবাদিকের পরিচয়ে তারা পিতা স্থানীয় পরিষদ থেকে জেলেদের বরাদ্দকৃত চাল আনছে। পা খাটো হওয়ায় এলাকার লোকজন তাকে ল্যাংড়া কবির হিসাবে চিনে।
এ বিষয়ে প্রবাসী মুক্তার জানান, কবির হল গন্ডমূর্খ। সে আবার কিসের সংবাদকর্মী। আমার নিকট থেকে একাধীকবার ফোন করে চাঁদাদাবী করছে। না দেওয়ায় আমার পরিবারের লোকজনদের সাথে বাজে ব্যবহার করছে প্রতিনিহত।
এ বিষয়ে জানতে কথিত সাংবাদিক কবিরের মোবাইলে একাধীকবার কল করলেও সে কল রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, ভুঁইফোড় অনিবন্ধিত পত্রিকার কোনো লোক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কোনো সরকারী দপ্তর কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করলে ৯৯৯ ফোন দিয়ে ধরিয়ে দিন। তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তিনি।