প্রকাশিত,১৭, আগষ্ট,২০২২
মো: রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ)
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
শিক্ষানুরাগী সালেহীন মাহবুব সুদীর্ঘ প্রায় ৪ বছর ধরে কাজ করছেন মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের তিনি মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন। তিনি সর্বদা শিক্ষার্থীদের ভালো- মন্দ বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে ভুলেন না।
এলাকার জনমানুষের কাছে তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে সুপরিচিত। তিনি সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত। নিজের আদর্শ ধরে রাখতে চান আমৃত্যু। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্সের প্রভাষক ও ভর্তি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সালেহীন মাহবুব ১৯৯১ সালের ২১ জুলাই রংপুরে তার নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সালেহীন মাহবুব। তার বাবা পেশায় ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি ও মাতা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট। ফলে তার শৈশব কাটে ঢাকাতে। তিনি মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ও লেভেল সম্পন্ন করার পর, তিনি সপরিবারে ইটালি চলে যান এবং ইতালির রোম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে আইবি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য আমেরিকা চলে যান এবং আমেরিকার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় পিটিসবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে রসায়ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। শুধু তাই নয়, তিনি পিটিসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চশিক্ষা লাভের পর পরবর্তীতে ওই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষক সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু মাতৃভূমির মায়া ও ভালোবাসার টানে তিনি আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে আসে এবং বাল্যকাল থেকেই শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ থাকায় তিনি শিক্ষকতাকে মহান আদর্শ ও মহৎ পেশা হিসেবে বুকে ধারণ করে।
একজন আদর্শ শিক্ষকের পাশাপাশি তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি 'মাহবুব ডেইরি এন্ড এগ্রো' নামে একটি এগ্রো ফার্ম পরিচালনা করেন। যার মাধ্যমে তিনি কিছু বেকার যুবকের বেকারত্ব দূরীকরণে মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছেন। করোনাকালীন সময়ে যখন মানুষ নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত তখন সালেহীন মাহবুব কাজ করেছিলেন সাধারণ মানুষের জন্য। তিনি মনে করেন, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর মধ্যেই নিজের সুখ লুকিয়ে থাকে, তাই তিনি সর্বদা মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
শিক্ষকতাকে কেন তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিলেন এ প্রশ্ন করায় তিনি আরো বলেন,"বাইরের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক পার্থক্য রয়েছে। মানসম্মত শিক্ষার দিক থেকে বিচার করলে বাংলাদেশ অনেকাংশই পিছিয়ে আছে আমেরিকা বা উন্নত দেশের তুলনায়। আমি চেষ্টা করব বাইরের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার যে পার্থক্য রয়েছে সেটার সমন্বয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে তোলার।"
তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তার অনেক শিক্ষার্থী এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত আছেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি তার সততা ও আদর্শকে ধরে রাখতে চান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, এজন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।