প্রকাশিত,১২, সেপ্টেম্বর,২০২৩
ইমাম হাসান জুয়েল, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র্যাব-৫, এর একটি অপারেশন দল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ ৯:৩০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাজারে জয়ীতা কঞ্জুমার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর অফিস কক্ষ হতে ‘‘জয়ীতা কঞ্জুমার কো-অপারেটিভ সোসাইটি’’ এ মানুষের জমাকৃত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ আসামী মোঃ খুরশীদ আলম (৪৩) (মূলহোতা), পিতা-মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ সাকিম বিল্লাহ (২৫) (মাঠকর্মী), পিতা-মোঃ আল ইসলাম, মোঃ জসিম উদ্দিন (২৫) (মাঠকর্মী), পিতা-মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, সর্ব সাং-বালিয়াডাঙ্গা, থানা ও জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জদেরকে পাশ বই- ৪, রেজিষ্টা- ৪টি, কালেকশন শীট- ৪টি, বিভিন্ন ধরনের সীল- ৫টি, রুপালী ব্যাংক লিমিটেড এর ১০০ পাতার ব্যাংক চেক বই- ১টি, মোবাইল ফোন- ৩ টি সহ গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা চক্রের সাথে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের টাকা গ্রহণ করে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে কঞ্জুমার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। উক্ত এনজিওতে বিভিন্ন গ্রাহককে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে গরীব অসহায় লোকদের টাকা বিনিয়োগ এবং ঋণ নেয়ার জন্য উস্কানি প্রদান করে। অসহায় লোকজন তাদের উস্কানিতে টাকা বিনিয়োগ করে এবং তাদের এনজিও হতে ফাঁকা চেক জমার মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করলে এনজিও কর্মীরা ব্যাংক চেক ব্ল্যাক মেইল এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা এবং গ্রাহকের জমাকৃত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। অসংখ্য ভূক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব চাঁপাইনবাগঞ্জের চৌকষ গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ বর্ণিত এলাকা হতে কঞ্জুমার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর মূলহোতা সহ প্রতারক চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।
উপরোক্ত ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :