প্রকাশিত, ২৫,মে,২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
নেত্রকোনা জেলার পৃর্বধলা উপজেলায় ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশন হইতে পৃর্বধলা থানা জারিয়া রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়তই চলে আসা যাওয়া করে বলাকা ট্রেন এই কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা বলাকা ট্রেনটির শেষ গন্তব্য স্থান হচ্ছে পৃর্বধলা থানা জারিয়া রেল স্টেশন। এই আগের স্টেশনটি হচ্ছে পৃর্বধলা রেল স্টেশন। এই পূর্বধলা রেলস্টেশনের পচ্ছিম পাশেই রয়েছে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাদের অফিস ,যেমন : উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়,উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের অফিস, সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এর কার্যালয়। এতগুলি কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সামনেই চলছে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি দখলের মহোৎসব। উক্ত বিষয়টি কেনো জানি, কারো চোখে পড়ে না, তার কারণ খুঁজতে গিয়ে অনুসন্ধানী টিম জানতে পারে কিছু অসাধু ভূমিদস্যু লোক এই রেলওয়ের জায়গা গুলি দখল করে গড়ে তুলছে আধা পাকা বাড়ি শুরু করেছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাসা ভাড়া সহ বেশ কিছু কর্মকাণ্ড।
এই বিষয়ে পূর্বধলা রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোমেন সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রেলওয়ের ১১ জন কর্মকর্তা থাকার কথা এর মধ্যে একজনও নেই । আমি রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলাম এখন চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। এরপরেও রেলওয়ের স্টেশনে লোক না থাকা সত্ত্বে রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি এখন অতিরিক্ত ভাবে দায়িত্ব পালন করছি।আর এই রেলওয়ের জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজের মাঝে একটি গুঞ্জর উঠে,তার পর এই গুঞ্জুর শুনে আমি সরজমিনে গিয়ে দেখি কিছু অসাধু লোক তারা রেলওয়ের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। পরে এই বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করলে আমার প্রতিবাদ না মেনে তারা প্রতিনিয়তই গড়ে তুলছে ঘরবাড়ি । তাই আমি এই বিষয়ে ময়মনসিংহ জোন রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে জানাই, এমনকি ভূমিদস্যদের কে ভুমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রধান করি। নোটিশ প্রদান করার পরেও কোনভাবেই থামছে না তাদের এমন জমি দখলের অনৈতিক কাজ ।তারা পেশির বলে দিবারাতি ঘর বাড়ি তৈরির করার কাজ প্রতিনিয়তই চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান দৈনিক শেষ সংবাদের প্রতিবেদককে।
পৃর্বধলায় চলছে রেলওয়ের জমি দখলের মহোৎসব,আর এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় নির্বিকার কর্তৃপক্ষ । এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে দৈনিক শেষ সংবাদ এর অনুসন্ধানী টিম এর কাছে।আর এই রেলওয়ের জমি দখলের তথ্য খুঁজতে গিয়ে বেড়িয়ে আসে তলের বিড়াল। রেলওয়ের জমি দখলকারীরা হলেন,১) বকুল ফকির ২) জুয়েল মিয়া ৩)মনু মিয়া ৪) বকুল তালুকদার ৫) কফিল খান মাষ্টার ৬) মোঃ সালাম সহ আরো বেশ কয়েকজন। এই বিষয়ে ভূমি দখল কারী বকুল ফকির এবং মোঃ জুয়েল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,রেল কর্তৃপক্ষ ও থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করেই নাকি এসব জমি দখল করা হচ্ছে। আবার লিজ নিয়ে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে বলেও তারা বড় গলায় দাবি করছেন অনেকেই।
দফায় দফায় জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও পৃর্বধলায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে অসহায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের জমি দখলের এ উৎসবে মেতেছেন,পৃর্বধলা উপজেলার প্রভাবশালীরা।
এই প্রভাবশালীদের কুঠির জোর কোথায় জানতে গিয়ে অনুসন্ধানী টিম সরেজমিনের গিয়ে ঘুরে দেখতে পাই , নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার শ্যামগঞ্জ বাজার হইতে পূর্বধলা বাজার পর্যন্ত লিজের নামে গড়ে তুলেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,রেলওয়ের সড়ক অংশে স্থাপনা নির্মাণ করার জন্য জমি নিয়ে চলছে বাণিজ্য।আর সব বাণিজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক কিছু অসাধু নেতা কর্মীরা জরিত আছে বলে জানা যায়,অনুসন্ধানে ।আর এইসব নেতা কর্মীদের নাম প্রকাশ করবো দ্বিতীয় পর্বে, অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার পৃর্বধলা বাজার হইতে পৃর্বধলা রেল স্টেশন পর্যন্ত রেলওয়ের পরিত্যক্ত জমিগুলো মনগড়া চুক্তি করে বদলানো চেষ্টা চলছে মালিকানা। জমিগুলোতে স্থায়ী পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে আগাম দখলে নেয়ার উৎসবে মেতেছেন স্থানীয় কিছু অসাধু প্রভাবশালীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি দখলের এমন ঘটনায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক অনেক স্থায়ী স্থাপনা দৃশ্যমান হয়েছে এই রেল লাইনের পাশে। এর মধ্যে পূর্বধলা রেল স্টেশন হইতে পূর্বধলা বাজার পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, রেলওয়ের জমিতে আধাপাকা ঘর নির্মাণের নামে কৌশলে রড ও সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে পাকা করে স্থায়ীভাবে মার্কেট, বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। পূর্বধলা রেল স্টেশনের একটু দক্ষিণ পাশে ভূমি অফিসে সামনেই রেলের নিচু জমিতে বালু ও মাটি ফেলে জমি দখল করা হচ্ছে বলে দেখা যায়,এমনকি নতুন স্থাপনার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তবে এ জমির মালিক কে- কেউ বলতে পারেননি স্থানীয়রা। আর এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা চলছে সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাদের অফিসের সামনে। বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ের জায়গা দখল করছে কিছু অসাধু ভূমিদস্যু বাহিনী বলে জানান, সুশীল সমাজের লোকেরা। এলাকাবাসী আরও বলেন,এখানেই রয়েছে বাংলাদেশ সরকারেরই বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা,তাদের নাকের ডগার সামনে- ই চলছে এইসব রেলওয়ের জমি দখলের কান্ড।আর এই বিষয়ে আজও কোন সরকারি কর্মকর্তা প্রতিবাদ করতে শুনি নাই বলে জানান সুশীল সমাজের লোকেরা। তারা আরও বলেন,এই সরকারি কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ ও বাহির হলেই,যেমন : চায়ের আড্ডায়,বাসা থেকে অফিসে আসা ও বাসায় ফিরার রাস্তা একটাই। এমনকি অফিস থেকে বের হলেই তাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এই রেলওয়ের জমি দখলের কর্মকাণ্ড,কিন্তু কেহই এই বিষয়ে মুখ খুলেন না।আর এই বিষয়টা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, কেন তারা প্রতিবাদ করছে না, তারা কি তাদের কাছে কোন দায়বদ্ধতা আছে, নাকি তাদের কাছে কোন টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে, নাকি সরকারি কর্মকর্তাদের চেয়ে তারা অনেক শক্তিশালী । এমন প্রশ্ন নিয়ে এলাকাবাসীর মনে একটি আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য চলে আসে দৈনিক শেষ সং