পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশা চালকরা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৫-২৭, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন /
পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশা চালকরা।

প্রকাশিত, ২৭,মে,২০২৪

এম এইচ শাহীন, গাজীপুর প্রতিনিধি:

ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার অটোরিকশা চালক। এ সময় তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেড় ঘণ্টা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।

রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশা চালকেরা। এ সময় মহাসড়কে দুপাশে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটারের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন পরিবহনের হাজারো যাত্রী। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে অটোরিকশা চালকদের সরিয়ে দেয়। পরে দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এএ ইয়াং মিলস্ লিমিটেড কারখানার সামনে অবস্থান নেন কয়েক হাজার অটোরিকশা চালক। তাদের হাতে লাঠিসোঁটা। মহাসড়কে দল বেঁধে মিছিল করেছেন চালকেরা। বেশ কয়েকটি অটোরিকশা সড়কের মাঝখানে রেখেছে। 
মহাসড়কের বিভিন্ন পরিবহনে আটকা পড়েন হাজারো যাত্রী। মহাসড়কের দুপাশে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার এলাকার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে অসংখ্য রোগী। আটকে যায় রোগীবাহী অনেক অ্যাম্বুলেন্স। 

অটোরিকশা চালক সুমন মিয়া বলেন, ‘ঢাকা শহর সহ দেশের সব মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে কোনো সমস্যা নেই। শুধুমাত্র ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর অংশে আমাদের বাধা দেয়। আমাদের হয়রানি করে। মাসোহারা দিলে কোনো সমস্যা নেই।’ 

অটোরিকশা চালক মিজান বলেন, ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে কমপক্ষে ৫ হাজার অটোরিকশা চলাচল করে। ৩ হাজার অটোরিকশা পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে চলাচল করে। তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমরা পুলিশকে মাসোহারা দেই না তাদের অটোরিকশা প্রতিদিন আটক করে টাকা নেয়।

ময়মনসিংহগামী আলম এশিয়া পরিবহনের চালক মোমেন মিয়া বলেন, দুই ঘন্টা যাবৎ মহাসড়কে আটকে আছি। শুনছি সামনে অটোরিকশা চালকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে অটোরিকশা চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক মানুষ গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে সামনে অগ্রসর হন। আনুমানিক দুই ঘণ্টা পর পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে অটোরিকশা চালকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ বলেন, অনেকক্ষণ যাবৎ রাস্তা বন্ধ। এখন এর বেশি বলা যাচ্ছে না। চাঁদার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা’