পার্বতীপুর রেলসেতুতে আটকে পড়া নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়লেন দাদি।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-১৯, ৫:৪৭ অপরাহ্ন /
পার্বতীপুর রেলসেতুতে আটকে পড়া নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়লেন দাদি।

প্রকাশিত,১৯, আগস্ট,২০২৩

রুবেল চিরিরব বন্দর দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বিয়েবাড়িতে গিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল কয়েকজন নিকটাত্মীয়। এ সময় একটি রেলব্রিজের ওপর উঠলে রেলে কাটা পড়ে নিহত হন দাদি ও নাতনি। আহত হয়েছেন আরও একজন।
আজ শনিবার সকালে পার্বতীপুর-দিনাজপুর রেলপথের নামাপাড়া রেলব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন মর্জিনা বেগম (৬০) ও তাঁর ছেলের মেয়ে (নাতনি) সাথী আক্তার (৬)। মর্জিনা চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর ভূষিরবন্দর এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী।

আহত হয়েছেন তাদের নিকটাত্মীয় জান্নাতুল নামে এক নারী। তিনি ট্রেন দেখে রেললাইনের স্লিপার ধরে ঝুলে পড়েন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহীন আলম নামের এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পার্বতীপুর-দিনাজপুর রেলপথের পৌর শহরের নামাপাড়া এলাকার তিলাই নদীর ওপর রেলব্রিজ অতিক্রম করছিলেন একদল নারী-পুরুষ। এ সময় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মর্জিনা বেগম ব্রিজ পার হলেও আটকা পড়ে নাতনি সাথী আক্তার। এ সময় নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনই ট্রেনে কাটা পড়েন। পরে দুর্ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতের আত্মীয় আনছার আলী গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল (শুক্রবার) উপজেলার হুগলীপাড়া গ্রামে আত্মীয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আজ সকালে ঘুরতে বের হয়ে দুর্ঘটনায় ওই দুজনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল দিনাজপুর রেলওয়ে থানার অধীনে হলেও আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’