প্রকাশিত,১৭, জানুয়ারি,২০২৪
নাজমুল হোসেন স্টাফ রিপোর্টার রাজবাড়ীঃ
ঘন কুয়াশায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে বাল্কহেডের ধাক্কায় কয়েকটি মালবাহী যানবাহন নিয়ে একটি ফেরি ডুবে গেছে।
১৭ই জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ফেরির নাম ‘রজনীগন্ধা’। ফেরিডুবির ঘটনায় ১০ জন উদ্ধার হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন সাঁতরে কূলে আসেন। আর ছয়জনকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফেরির চালক হুমায়ুন হোসেন নিখোঁজ রয়েছেন।
শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ সরকার জানান, ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে কাজ করছে ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এছাড়া রাজধানীর সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।
তিনি জানান, ঘন কুয়াশায় নদীতে থেমে থাকা ফেরি দেখতে না পেয়ে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে ফেরিটি ডুবে যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, ডুবে যাওয়া ফেরিতে ৯টি ট্রাক ছিল। ফেরিটি দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া আসার পথে ঘনকুয়াশার কারণে ঘাটের অদূরে নোঙ্গর করেছিল।
ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ রওনা দিয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিস,পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসিসহ অন্যরা উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে। এখন পর্যন্ত আমরা ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। চারজন সাঁতরে কূলে পৌঁছেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিসহ ডুবে যাওয়া যানবাহনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃনাজমুল হোসেন বলেন, আমার গাড়িতে বস্তাভর্তি লোহা ছিল। এসব বস্তা নিয়ে কাঁচপুর একটি কারখানায় যাওয়ার কথা ছিল। রাত ১২টার দিকে ৯টি পণ্যবাহী যানবাহন নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা ফেরিটি পাটুরিয়ার ঘাটের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু ঘন কুয়াশার পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার আগেই ফেরিটি নোঙ্গর করা হয়। সকাল ৮টার দিকে ফেরিটি পানিতে ডুবে যাওয়ার সময় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কাটতে থাকি। পরে একটি ট্রলার এসে আমাকে উদ্ধার করে নদীর পাড়ে আনে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তারসহ প্রশাসনের লোকজন। জেলা প্রশাসক জানান, ফেরিডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিসট্রেট সানজিদা জেসমীনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ফেরি ডুবে যাওয়ার মূল কারণ জানা যাবে।
ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে বাংলাদেশ নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।