প্রকাশিত,২৭,জুন, ২০২৪
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নামজারী খতিয়ান অনুমোদন না দেওয়ার কারণে জনগণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ভূমি ক্রয়-
বিক্রয় সহ বিভিন্ন কারণে নামজারী খতিয়ানের প্রয়োজন হলেও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাস রহস্যজনকভাবে
বি.এস নামজারী খতিয়ান অনুমোদনে স্বাক্ষর করছে না। জানা যায়, পটিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম বদলি
হওয়ার পর তার স্থলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেলা প্রশাসকের একান্ত সচিবের দায়িত্বে থাকা প্লাবন কুমার বিশ্বাসকে পটিয়া এসিল্যান্ড হিসাবে পোস্টিং দেন। গত ২৩ মে
তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর একমাস গত হলেও রহস্যজনক কারণে বি.এস নামজারী খতিয়ান অনুমোদন থেকে বিরত রয়েছে। উপজেলার কেলিশহর গ্রামের অমিত দাশ নামের এক ভুক্তভোগী জানান, পারিবারিকভাবে টাকার জরুরী প্রয়োজনে ভূমি বিক্রয় করার জন্য তাদের পৈত্রিক ও মৌরশী ভূমি নামজারী খতিয়ানের জন্য আবেদন করা হয়। দেড় মাস গত হলেও এখনও খতিয়ানটি পাওয়া যায়নি। এসিল্যান্ড সাহেব নামজারী খতিয়ান অনুমোদন না দেওয়ার কারণে খতিয়ানটি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ধরণের অনেক ভুক্তভোগী প্রতিদিন খতিয়ান পাওয়ার আশায় এসিল্যান্ড অফিসে এসে ঘুরাফেরা করছে। পটিয়া এসিল্যান্ড অফিসে প্রতিদিন শতাধিক নামজারী খতিয়ানের আবেদন হয়ে থাকে। এরমধ্যে অধিকাংশ অনুমোদন হয়। বর্তমানে সহশ্রাধিক আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে আছে। এতে সরকার একদিকে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে জনগণ ভূমি ক্রয়-বিক্রয় সহ
বিভিন্ন কারণে নামজারী খতিয়ান পেতে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি প্লাবন কুমার বিশ্বাস থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পটিয়া ভূমি অফিসে ভূমিসংক্রান্ত
নথিগুলো অগোচালো রয়েছে। বর্তমানে বি.এস নামজারী খতিয়ান পেতে অনলাইনে আবেদন করতে হচ্ছে। অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম
গুছিয়ে নিয়ে তিনি অনুমোদনের কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছে। তবে কতদিন সময় লাগবে তা তিনি জানাননি।
সেলিম চৌধুরী
পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়া চট্টগ্রাম
২৬/০৬/২৪ ইং।
আপনার মতামত লিখুন :