পটিয়ায় হত্যা মামলার ৪ আসামি ধরা ছোঁয়ার বাইরে।। মামলা প্রত্যাহার চাপ সৃষ্টি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-২১, ৩:১০ অপরাহ্ন /
পটিয়ায় হত্যা মামলার ৪  আসামি  ধরা ছোঁয়ার বাইরে।।  মামলা প্রত্যাহার  চাপ সৃষ্টি ও  হত্যার হুমকির অভিযোগ  ।

প্রকাশিত,২১, আগস্ট,২০২৩

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় শাহেদুল ইসলাম (২০)। হত্যা মামলার ৪ আসামি রুবেল, আরমান, মামুন হোসেন, কফিলকে প্রায় তিনমাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পটিয়া থানার পুলিশ। ১জুন বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ছনহরা ইউনিয়নের মুরলীঘাট এলাকার তার বন্ধু ফয়সাল মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের বাথুয়া ব্রিজের নিচে নিয়ে গিয়ে পটিয়া সরকারি কলেজ ছাএ সাহেদুল ইসলামকে পারিবারিক কলহের জের ধরে একদল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্য করে ফেলে চলে যায়। এঘটনার মুলহোতা ফয়সাল আড়ালে রয়েছে বলে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে। কলেজ ছাএ সাহেদুল ইসলাম খুনের বিষয়ে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞেসা করলে খুনের রহস্য উদঘাটন হবে বলে সচেতন এলাকার লোকজন সুএে জানাযায়।

নিহতের ভাই মোহাম্মদ পারভেজ জানান, ঐদিন রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে তার ভাই শাহেদুল ইসলামতার বন্ধু ফয়সাল মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাথুয়া ব্রিজ এলাকায় যান। সেখানে সোলাইমান টিংকু, মামুন হোসেন, মো. রুবেল, কফিল, আরমানসহ ১০/১৫ জন স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শাহেদুলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

খবর পেয়ে শাহেদুলের ভাই ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও মারধর করেন ওই কিশোররা। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যান। এরপর শাহেদুলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পারভেজ আরও বলেন, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তারা এলাকার চিহ্নিত কিশোর সন্ত্রাসী। এলাকার কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় থেকে আধিপত্য বিস্তার করে চলছে তারা। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে আসামির আত্মীয় স্বজনরা নিহত সাহেদুল ইসলাম এর ভাই পারভেজ কে পটিয়া সেন্ট্রাল হসপিটালের প্রতিদিন চাকুরী করে বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন ধরনের হত্যা হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার চাপ দিচ্ছে বলে বলে সে অভিযোগ করেন। বর্তমানে নিহতের পরিবার আতংকিত তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার জানান, সাহেদ হত্যা মামলা আসামি গ্রেপ্তার অভিয়ান অব্যহত রয়েছে।

সেলিম চৌধুরী
পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়া চট্টগ্রাম

১৯/০৮/২৩ ইং।