প্রকাশিত,১৩, সেপ্টেম্বর,২০২৩
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নে শিশু-কিশোর, মা সমাবেশ ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্টান মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আবদুল করিম ইমনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, (চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া আসনের) নৌকার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেতা মুহাম্মদ বদিউল আলম। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও শিশু সংগঠক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী, মোখতার আহমদ আরিফ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, রিটন বড়ুয়া, মোঃ জাকারিয়া, যুবলীগ নেতা সাহাবুদ্দীন সাদি, মোঃ সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মোঃ জাহেদ, তাজুল ইসলাম, মোঃ আবছার, বাদশা মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসাইন, মোঃ রিদয়, মোঃ মানিক, মোঃ আরিফ, মোঃ আনিস প্রমূখ।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম বলেন, আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, আমি আপনাদের ছেলে। আপনাদের সুখে-দু:খে পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে গত ৪৪ বছর কাজ করেছি সততার সাথে।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার আহবানে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে যুবলীগের মানবিক কর্মকান্ড করোনা সংকট থেকে শুরু হলে যুবলীগ মানবিক কর্মসূচি সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে জনমনে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় যে, প্রথমে দেশব্যাপী নাগরিক সচেতনতায় কাজ শুরু করে যুবলীগ। প্রথম দিকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, মাস্ক এবং প্রচারপত্র বিতরণ করেন নেতাকর্মীরা। পরে লকডাউন শুরু হলে কর্মহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তারা। সারা দেশে সাড়ে চার লক্ষাধীক বিভিন্ন শ্রেনীর দুস্থ মানুষকে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আলু, লবণ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী এবং রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুরো রমজান মাসে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে বন্যাকালীন সময়েও যুবলীগ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছে। যা আজ পর্যন্ত সারাদেশেই অনুরূপ কার্যক্রম চলমান। মনোনয়ন দেয়ার মালিক আল্লাহ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উছিলা। আপনারা আমাকে এগিয়ে দেন, আমি পটিয়াকে সারাদেশের মধ্যে এগিয়ে দিবো।
যুবলীগের অতীতের অনেক নেতা এখন সংসদ সদস্য, কেউ কেউ মন্ত্রী হয়েছেন। উপরে আল্লাহ্ আর শেখ হাসিনা চাইলে আমিও পটিয়ার সুনাম ও সুখ্যাতি বৃদ্ধি করতে পারবো।
সেজন্য আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনারা আমাকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে দিতে পারেন। আমার স্বপ্ন পটিয়াকে জেলা করার ইনশাআল্লাহ্ একদিন তা হবেই। সারাদেশে শত শত স্কুল কলেজ সরকারি হলেও পটিয়ার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো সরকারি হয়নি, এটা আমাদের চরম ব্যর্থতা। আমাদের প্রতিনিধিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সে দাবী তুলে ধরতে পারেনি। এ সময় সমবেত লোকজন বদিউল আলমের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সেলিম চৌধুরী
পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়া চট্টগ্রাম
১৩/০৯/২৩ ইং।
আপনার মতামত লিখুন :