ফ্রকাশিত,০৪,আগস্ট, ২০২৪
পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরীঃ
-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জমিরিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্ররা। এতে মাদ্রাসা ও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগের ১০জন কর্মীসহ শিক্ষার্থী পথচারীসহ প্রায় ৫০জন আহত হয়। সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের সামনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি শান্তি সমাবেশের আয়োজন করলে শিক্ষার্থীদের ্একটি মিছিল সমাবেশের কাছাকাছি পৌছলে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সমাবেশ স্থল থেকে এমপি মোতাহের পাশবর্তী একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আশ্রয় নিলে সেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যাপক হামলা ভাংচুর তান্ডব চালায়।
গতকাল রবিবার সকাল ১০ টায় মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রথমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া সদরের ডাকবাংলো মোড়ে অবস্থান নেয়। দুপুর ১২ টায় এক বিশাল মিছিল মহাসড়ক অতিক্রম করে মুন্সেফবাজার এলাকায় পৌছলে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা বিক্ষোভরত মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এসময় মাদ্রাসার ছাত্ররাও পাল্টা হামলা চালালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষনের ঘটনাও ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রায় ১৬টি মোটরসাইকেল জ¦ালিয়ে দেয়। এসময় পত্রিকাবাহী হকার মামুনের একটি বাইসাইকেলও জ¦ালিয়ে দেয়া হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপজেলা গেইটের সম্মুখে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা-ভাংচুর চালিয়ে আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধরা এমপির বহুতল ভবনের একটি বেসরকারী ব্যাংক ও বেসরকারী হাসপাতালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। সেখানে আওয়ামীলীগের সমাবেশস্থলে রাখা দুইশতাধিক চেয়ার ভাংচুর করে।
হামলার সময় আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সন্তোষ বড়–য়া (৭৫), মাদ্রাসার ছাত্র আতিকুল ইসলাম (২৩), আবদুল্লাহ মাহমুদ (২২), ওসমান (২০), পথচারী বোরহান (২৮), জালাল (৫৫), আরাফাত (২৫)সহ প্রায় ২০ জন। এছাড়াও ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত। কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা থানাভবন ঘেরাও করে এসময় নিরাপত্তা রক্ষায় থানার প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় আন্দোলনকারীরা থানাভবনে ঢুকতে পারে নি।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুচিতা দেব জানান, আহত দুইজনের শরীর থেকে বুলেট বের করা হয়।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান, পুলিশের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রধান ফটক বন্ধ রাখা হয়। এতে পুলিশ কাউকে বাধা দেয় নি।
পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানান, হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।
এদিকে, বিকেল ৫ টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় চলে গেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন পটিয়ার সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম দিদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাজেদা বেগম প্রমুখ।
সেলিম চৌধুরী
পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়া চট্টগ্রাম
০৪/০৮/২৪